ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘ওয়ালটনের র‌্যাবিস টিকাদান কর্মসূচি শুধু দায়বদ্ধতার নিদর্শন’

গত ১৭ অক্টোবর থেকে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চন্দ্রাস্থ হেড কোয়ার্টারে ইনভায়রনমেন্ট হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের উদ্যোগে র‌্যাবিস (জলাতঙ্ক) ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি সার্জনের উপস্থিতিতে ডিপ ইকোলোজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন (DESCF) সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেছেন, “এই কার্যক্রম শুধু কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর আন্তঃনির্ভরশীলতা তুলে ধরে। জলাতঙ্ক জুনোটিক রোগ (প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রামক)। জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করে ওয়ালটন পরোক্ষভাবে স্থানীয় কুকুর ও অন্যান্য প্রাণীর জীবনকে মূল্য দিচ্ছে।”

ওয়ালটনের ইনভায়রনমেন্ট হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেছেন, “যখন রোগ নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন বন্যপ্রাণীর মধ্যে রোগের সংক্রমণ কমে আসে, যা সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। র‌্যাবিস নিয়ন্ত্রণের এই প্রচেষ্টা মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর সহাবস্থানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। এটি মনে করিয়ে দেয় যে, মানুষের স্বাস্থ্য সরাসরি অন্যান্য প্রাণীর স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত (ওয়ান হেলথ বা এক স্বাস্থ্য ধারণা)। যেখানে মানুষ নিজেদেরকে প্রকৃতির একটি বিচ্ছিন্ন অংশ মনে করে না, বরং একটি বৃহত্তর জীবন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে দেখে।”

ডিপ ইকোলোজির প্রতিনিধিরা বলেন, “ওয়ালটনের র‌্যাবিস টিকাদান কার্যক্রম শুধু জনস্বাস্থ্য নয়, এটি প্রাণী কল্যাণ ও পরিবেশগত দায়বদ্ধতার নিদর্শন। ওয়ালটন যে মানবজীবন সুরক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়েছে, আমরা তাকে গভীরভাবে সাধুবাদ জানাই। আমরা আশা করি, এই উদ্যোগ গভীর বাস্তুবিদ্যার নীতি অনুসারে আরো বৃহত্তর পরিসরে সম্প্রসারিত হবে— যেখানে প্রাণিজগৎ, মানুষ ও পরিবেশের অন্তর্নিহিত মূল্যকে সম্মান জানিয়ে টেকসই সংরক্ষণ কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।”

র‌্যাবিস টিকাদান কর্মসূচিতে সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত আছে ওয়ালটন পেস্ট কন্ট্রোল টিম এবং ইনভায়রনমেন্ট হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগ।

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ