বন্ধুর মায়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, কয়েক ঘণ্টা পর মারা গেলেন যুবক
Published: 4th, November 2025 GMT
মাত্র এক দিন আগে এক বন্ধুর মায়ের মৃত্যুর খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছিলেন আশিক মাহমুদ (২৮)। এর কয়েক ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার ভোরে তিনি নিজেই মারা গেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গুজাকুড়া নলকুড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে। স্বজনেরা জানান, আশিক হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
পরিবার ও কয়েকজন সহপাঠীর সূত্রে জানা গেছে, আশিক মাহমুদ স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরির পড়াশোনা করছিলেন। তিনি ২০১২ সালে হিরণ্ময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি, ২০১৪ সালে সরকারি নাজমুল স্মৃতি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০১৮ সালে সরকারি শেরপুর কলেজ থেকে অনার্স সম্পন্ন করেন। আজ ভোরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। এর কয়েক ঘণ্টা আগেও তিনি ফেসবুকে সক্রিয় ছিলেন। বন্ধুর মায়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে একটি পোস্টও দিয়েছিলেন।
সহপাঠী শরিফুল আলম বলেন, ‘আশিক খুব শান্ত ও ভদ্র ছেলে ছিল। আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না সে আর নেই। তার হঠাৎ চলে যাওয়া মেনে নেওয়াটা কঠিন।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষে নিহত ৮
ভারতে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষে অন্তত আট জন নিহত হয়েছে। আহত আরো অনেকে। তবে এদের মধ্যে ১৬-১৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার গেবরা রোড এবং বিলাসপুরের মাঝে লালখাদানের কাছে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে যাত্রীবাহী ট্রেনটি বিলাসপুরের দিকে যাচ্ছিল। তবে ট্রেনটি যে লাইনে ছিল, তার আগেই একটি মালগাড়ি ছিল। পিছন থেকে এসে লোকাল ট্রেনটি সজোরে ধাক্কা মারে ওই মালগাড়িতে। সংঘর্ষের অভিঘাতে মালগাড়ির উপরে উঠে যায় যাত্রীবাহী ট্রেনটির একাংশ। দুমড়েমুচড়ে যায় ট্রেনের ইঞ্জিনটি। কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে,সিগন্যাল ‘লাল’ থাকা সত্ত্বেও যাত্রীবাহী ট্রেনটি নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন লোকো পাইলট। সিগন্যাল উপেক্ষা করার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণ করতে রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার (সিআরএস) পর্যায়ে তদন্ত হবে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখার পর প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কেও সুপারিশ করা হবে।
ঢাকা/শাহেদ