রাজধানীর শাহজাহানপুর থানাধীন মালিবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে সুরভী আক্তার মাহফুজা (২১) নামের এক নারীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি পেশায় একজন পোশাককর্মী। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য তাঁর স্বামীকে সন্দেহ করছে পুলিশ।  

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে সুরভীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, গত রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার দুপুরের মধ্যে সুরভীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে সুরভীর স্বামী আশিক মোল্লাহ তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রুমে রেখে পালিয়ে যান।

সুরভীর বড় ভাই হৃদয় খান জানিয়েছেন, তাঁরা পুলিশের মাধ্যমে গত রাত ১০টায় জানতে পারেন যে তাঁর বোনকে হত্যা করা হয়েছে।

ছয় বছর আগে আশিকের সঙ্গে সুরভীর বিয়ে হয়। তাঁদের ৪ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। তবে সুরভীর সঙ্গে তাঁদের পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না বলে জানান তাঁর ভাই হৃদয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষে নিহত ৮

ভারতে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষে অন্তত আট জন নিহত হয়েছে। আহত আরো অনেকে। তবে এদের মধ্যে ১৬-১৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার গেবরা রোড এবং বিলাসপুরের মাঝে লালখাদানের কাছে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে যাত্রীবাহী ট্রেনটি বিলাসপুরের দিকে যাচ্ছিল। তবে ট্রেনটি যে লাইনে ছিল, তার আগেই একটি মালগাড়ি ছিল। পিছন থেকে এসে লোকাল ট্রেনটি সজোরে ধাক্কা মারে ওই মালগাড়িতে। সংঘর্ষের অভিঘাতে মালগাড়ির উপরে উঠে যায় যাত্রীবাহী ট্রেনটির একাংশ। দুমড়েমুচড়ে যায় ট্রেনের ইঞ্জিনটি। কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে,সিগন্যাল ‘লাল’ থাকা সত্ত্বেও যাত্রীবাহী ট্রেনটি নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন লোকো পাইলট। সিগন্যাল উপেক্ষা করার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। 

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণ করতে রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার (সিআরএস) পর্যায়ে তদন্ত হবে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখার পর প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কেও সুপারিশ করা হবে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ