ভিডিপির প্রচলিত প্রশিক্ষণ কাঠামোকে আধুনিকায়নের জন্য সম্প্রসারিত মডিউলে ‘কমিউনিটি অ্যালার্ট মেকানিজম’, ‘সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ’ ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন কৌশল’, এবং ‘তরুণ নেতৃত্ব বিকাশ’-সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘ভিডিপি অ্যাডভান্সড কোর্স–২০২৫’ এর মধ্যে নতুনভাবে এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় নরসিংদী এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় কিশোরগঞ্জ জেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক অংশগ্রহণকারী ভিডিপি সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

এর আগে তিনি প্রশিক্ষণে সফলভাবে উত্তীর্ণ ১৬২জন ভিডিপি সদস্যের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। একইসঙ্গে প্রশিক্ষণে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী সদস্যদের কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ স্মারক প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিচালক আশরাফুল আলম, সংশ্লিষ্ট জেলা কমান্ড্যান্ট এবং বাহিনীর বিভিন্ন পদবির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, ভিডিপি অ্যাডভান্সড কোর্সের মূল লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায়ে দক্ষ ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব গড়ে তোলা এবং সদস্যদের আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করা। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যরা একদিকে যেমন জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, বাহিনীর কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও সদস্য কল্যাণে গৃহীত ‘সঞ্জীবনী’ কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন। প্রাথমিকভাবে দেশের ১১৬টি উপজেলায় আনসার ভিডিপি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অধীনে পাইলটিং পদ্ধতিতে চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের সম্পৃক্ততার সুযোগ থাকায় এটি একটি যুগান্তকারী কল্যাণমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সদস য আনস র

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েত, বাহরাইন, আমিরাতের আকাশপথ আবার সচল

কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কুয়েত, বাহরাইন ও আমিরাতের আকাশপথ। পরে এই তিন দেশ তাদের আকাশপথ আবার সচল করেছে। কুয়েত ও বাহরাইনের আকাশপথ আবারো খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশ দুটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর আকাশপথ বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরগুলোর কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার কথা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষও।

ইরাক ও কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কথা নিশ্চিত করেছে ইরান। এক বিবৃতিতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, ‘ইয়া আবা আব্দুল্লাহ আল হুসেইন’ সাংকেতিক নাম ধারণ করে বিপ্লবী গার্ড বাহিনী কাতারের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ‘বাশারাত ফাতেহ’ অপারেশনে কাতারের উদেইদ ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু’ করে ‘বিধ্বংসী ও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে।

বিবৃতির বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, কাতারের আল উদেইদে অবস্থিত আমেরিকান ঘাঁটিতে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। গত সপ্তাহে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে, কাতার নিশ্চিত করেছে ইরান থেকে মোট ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র একটি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে।

হামলার পর ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) বলেছে, হোয়াইট হাউস ও তাদের মিত্রদের প্রতি ইরানের বার্তা ‘সুস্পষ্ট’। ইরানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার উপর কোনো আক্রমণকে ‘খামোখা ছেড়ে দেওয়া হবে না’।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযান সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের নির্দেশে এবং খাতাম আল আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে। 

এই বিবৃতির কিছু আগে কাতারের রাজধানী দোহা এবং এর উপকণ্ঠ লুসাইলে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আকাশে প্রজেক্টাইল দেখা গেছে।

সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই সফল অভিযানে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ বোমা ব্যবহার করেছিল তার সমান ছিল। শক্তিশালী ইরানি বাহিনীর হামলায় যে ঘাঁটিটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল তা কাতারের নগর স্থাপনা এবং আবাসিক এলাকা থেকে অনেক দূরে ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা ১৪টি বোমা দিয়ে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এর কয়েক মিনিট আগে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানায়, কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ‘বিশারাত ফাতেহ’ এবং ‘ইয়া আবা আব্দুল্লাহ’ কোড নামে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে।

তাসনিম জানায়, ‘বিশারাত ফাতেহ’ ও ‘ইয়া আবা আবদুল্লাহ’ নামে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় একাধিক ওয়ারহেড বা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। 

আইআরজিসির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি জানাচ্ছে, এই প্রথমবার এই ক্ষেপণাস্ত্র কোনো হামলায় ব্যবহার করা হলো। সেই সঙ্গে হামলায় আধুনিক ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ