এনআইডির তথ্য ফাঁস, দুই প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই সেবা বন্ধ করল ইসি
Published: 7th, May 2025 GMT
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস হওয়ার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় আনসার-ভিডিপি ও ব্র্যাক ব্যাংকের এনআইডি তথ্যযাচাই সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যভান্ডারে ১২ কোটির বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এনআইডির সঠিকতা যাচাই করে থাকে। এই সেবা নিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তি করে থাকে। এর আগেও একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এনআইডি তথ্য ফাঁস হয়েছিল।
হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা নিয়মিত মনিটর করে থাকেন। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ধরা পড়ে, দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য তথ্য ফাঁসের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তখন সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি ভালোভাবে যাচাই করেন। পরে দেখা যায়, আনসার-ভিডিপি ও ব্র্যাক ব্যাংক থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে।
এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক বলেন, তথ্য ফাঁসের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সেবা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ইতিমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাঁরা বলেছেন, এটার ব্যাপারে তাঁদের যে নিয়মকানুন রয়েছে, যে প্রোটেকশন মেজারস নিতে বলেন, সেগুলো নিশ্চিত করতে বলেছেন। যারা জড়িত বলে তাদের কাছে প্রতীয়মান হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের কাছে আসতে বলেছেন।
এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক বলেন, এরপর চুক্তি অনুযায়ী যা করার তা করা হবে। এটা চলমান প্রক্রিয়া।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বৃদ্ধের দৃষ্টান্ত
বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছোট দুটি শপিং ব্যাগ পান মো. মিজানুর রহমান (৬০)। ব্যাগ খুলে ভেতরে দেখেন একটি মোবাইল ফোন ও একটি ওয়ালেট। সেই সঙ্গে একটি এনআইডি। এর সূত্র ধরে ব্যাগের ভেতর থাকা ৫২ হাজার ৫০০ টাকাসহ সবকিছু ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সদরে ঘটে এই ঘটনা।
মিজানুর রহমান আখাউড়া পৌর শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন তিনি। মিজানুর রহমান বলেন, ‘আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের সামনের সড়কে মঙ্গলবার সকালে ব্যাগ দুটি পাই। মোবাইলের সঙ্গে টাকাভর্তি ওয়ালেট ছিল। ভেতরে এনআইডিতে পাওয়া ঠিকানা অনুযায়ী মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শামসু মিয়ার ছেলে মো. আলমগীর মিয়ার বাড়িতে যাই। না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করি।’
পরে মিজানুর রহমান আখাউড়া পোস্ট অফিসের সামনে আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেন। আলমগীর দুটি ব্যাগের রংসহ ভেতরে কী কী ছিল তা বর্ণনা করেন। সব তথ্য মিলে যাওয়ার পর মিজানুর রহমান তাঁকে টাকা, মোবাইল ফোনসহ দুটি শপিং ব্যাগ বুঝিয়ে দেন।
এ সময় মিজানুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র সিয়াম সরকার। তিনি বলেন, ‘মিজান আঙ্কেল ব্যাগ দুটি পেয়ে আমাকে ডেকে বলার পর আমি ছবি তুলে ফেসবুকে দিই। পরে এনআইডির ঠিকানা অনুযায়ী অটোরিকশা করে আলমগীর মিয়ার বাড়িতে যাই। পরে তাঁর সবকিছু বুঝিয়ে দিই। মিজান আঙ্কেল খুব ভালো মনের মানুষ।’
টাকা হারিয়ে পাগলপ্রায় আলমগীর মিয়া। তিনি হারানো টাকা, মোবাইল ফেরত পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আখাউড়ার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করছিলাম। এমন সময় বাড়ি থেকে ফোন আসে। এই সময়ে মিজানুর রহমানের মতো লোকের অভাব। তিনি সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।