মহাখালীতে চালু হলো ‘হিট স্ট্রোক সেন্টার’, চিকিৎসা মিলবে বিনামূল্যে
Published: 12th, May 2025 GMT
তীব্র গরমের মধ্যে হিট স্ট্রোকে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে ঢাকার মহাখালীতে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে হিট স্ট্রোক সেন্টার চালু হয়েছে। ২৫ শয্যা নিয়ে চালু করা এই সেন্টারে তাপজনিত অসুস্থতায় আক্রান্তদের চিকিৎসা নিতে কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না।
সোমবার মহাখালীতে হিট স্ট্রোক সেন্টার উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
এ সময় তিনি বলেন, তাপপ্রবাহ চলাকালীন সময় তাপজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হলে প্রয়োজনে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো যাবে। এই হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় আইসিইউর ব্যবস্থা আছে। জটিলতা দেখা দিলে রোগীদের সেখানে স্থানান্তর করা হবে।
ইমরুল কায়েস বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ডিএনসিসির এই সেবা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে ৯৯৯ এ যোগাযোগ করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। ডিএনসিসির ৫টি অ্যাম্বুলেন্স আছে। নাগরিকরা তাদের প্রয়োজনে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স সেবাও নিতে পারবেন।
বৈশাখ মাসের শেষদিকে দেশজুড়ে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গত শনিবার এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। তবে রোববার সন্ধ্যার দিকে দেশের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। শনিবার ঢাকায় বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। রোববার রাজধানীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এনস স
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণে চাঁদা দাবি সন্ত্রাসীদের
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন প্রশাসনিক-একাডেমিক ভবনের কাজে চাঁদা দাবি করে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে এ দুটি ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে বর্তমানে ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা প্রশাসনিক ভবন ও ১৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণ চলছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভবন দুটির নির্মাণ চলছে। উভয় ভবনের নির্মাণকাজ পেয়েছে চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমই-আরবিজেবি। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সাতজনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে ঢুকে ঠিকাদারের কর্মচারীদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। পরে সন্ত্রাসীরা নির্মাণ শ্রমিকদের থাকার জন্য তৈরি করা টিনশেডের ঘরে ঢুকে তাদের ১০ থেকে ১২টি মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার আগে চাঁদা না দিলে নির্মাণকাজ বন্ধের হুমকি দেয়। চাঁদা না দিয়ে কাজ চলমান রাখলে পরবর্তী সময়ে ক্ষতি হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর ঠিকাদারের লোকজন ও শ্রমিকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া প্রায় ছয় মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ২৬ জুন রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সাত সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক ধরে হেঁটে ক্যাম্পাসে ঢুকছে। তাদের মধ্যে চারজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখে চেয়ারে বসা নিরাপত্তা প্রহরী অস্ত্রধারীদের দেখে উঠে দাঁড়ান। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। অস্ত্রধারীরা শ্রমিকদের ঘরে ঢুকে কয়েক মিনিট অবস্থান করার পর একই পথে চলে যায়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছে। পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকেও জানানো হয়েছে বিষয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজে দুইবার চাঁদা দাবি করেছিল। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভবনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মীর হোসেন জানান, চাঁদা না দেওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের কাউকেই চিনতে পারিনি। এরা কোনো দলের কিনা জানি না।
কোতোয়ালি থানার ওসি সাহেদ উদ্দীন জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আতিয়ার রহমান এ ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, এর আগে সিসিটিভি ফুটেজ না থাকায় কারা চাঁদা চাইতে এসেছিল জানা যায়নি। তবে এবার কারা এসেছে আমরা জানতে পেরেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।