রাজধানীতে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড মহাখালী হাসপাতালে চালু করা হলো হিটস্ট্রোক সেন্টার।

সোমবার (১২ মে) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী এই সেন্টারের উদ্বোধন করেন।

বর্তমান চলমান তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড মহাখালী হাসপাতালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট এই হিটস্ট্রোক সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়। যেখানে তাপজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন,“তাপপ্রবাহ চলাকালীন তাপজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত রোগী সংখ্যা বেশি হলে প্রয়োজনে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো যাবে।এই হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় আইসিইউ’র ব্যবস্থা রয়েছে। জটিলতা দেখা দিলে রোগীদের স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।”

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। নাগরিকরা তাদের প্রয়োজনে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স সেবা গ্রহণ করতে পারবে বলে জানান ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

বর্তমানে শহরজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে যা ঢাকার মতো ইট, কাঠের নগরে চরম মাত্রায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। এ বিষয়টি বিবেচনা করে চলমান তীব্র তাপদাহ মোকাবিলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের নির্দেশনায় মসজিদ কমিটির মাধ্যমে সকাল ১১টা থেকে মাগরিবের নামাজ পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মসজিদের প্রধান কক্ষ এবং অজুখানাসমূহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখার ব্যাপারে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক।  

ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস (জাতীয় জরুরি সেবা) ৯৯৯-এ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এই জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ সেবাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকরা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাবেন। 

ঢাকা/এএএম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ টস ট র ক কর মকর ত ড এনস স

এছাড়াও পড়ুন:

সাবধান! ভুয়া চাকরির প্রলোভনে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে হ্যাকাররা

লিংকডইনসহ পেশাদার কর্মীদের বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ভুয়া চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নতুন করে কম্পিউটারে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়ার একদল হ্যাকার। ‘বিভারটেইল’ ও ‘ইনভিজিবলফেরেট’ নামের ম্যালওয়্যারগুলো কাজে লাগিয়ে দূর থেকে সুপরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করছে তারা।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সকেট থ্রেট রিসার্চ জানিয়েছে, ভুয়া চাকরির প্রলোভনে এ ম্যালওয়্যার ছড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে হ্যাকাররা প্রথমে নিজেদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তা পরিচয় দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সফটওয়্যার নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর ‘টেস্ট প্রজেক্ট’ বা ‘কোডিং অ্যাসাইনমেন্ট’–এর নামে একটি গুগল ডক ফাইল পাঠায়। ফাইলটিতে ওপেন সোর্স মাধ্যম এনপিএমে (নোড প্যাকেজ ম্যানেজার) ৩৫টি ক্ষতিকর প্যাকেজ যুক্ত থাকায় নামালেই কম্পিউটারে বিভারটেইল ও ইনভিজিবলফেরেট ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যায়। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারে থাকা সব তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকারদের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সার্ভারে পাঠাতে থাকে ম্যালওয়্যারগুলো।

বিভারটেইল ম্যালওয়্যার মূলত ব্রাউজারে সংরক্ষিত কুকি, পাসওয়ার্ড ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটের তথ্য চুরি করার পাশাপাশি নতুন ম্যালওয়্যার ইনস্টলের সুযোগ তৈরি করে। ফলে সহজেই দূর থেকে কম্পিউটারে থাকা ফাইল সংগ্রহ, পর্দার ছবি তোলা, কি-বোর্ডের ব্যবহার নজরদারি করাসহ পুরো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যাকাররা ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা না করেই বড় পরিসরে আক্রমণ চালাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ম্যালওয়্যার হামলা থেকে নিরাপদে থাকতে অচেনা উৎস থেকে পাওয়া কোনো কোড বা সফটওয়্যার সরাসরি নিজেদের কম্পিউটারে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

সম্পর্কিত নিবন্ধ