ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “আমাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রের কথা ভেবে পাকিস্তান অনেকদিন ঘুমাতে পারবে না।” মঙ্গলবার আদমপুর বিমানঘাঁটিতে সেনাদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেছেন।

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হওয়ার দুদিন পর মোদি আদমপুর বিমানঘাঁটি পরিদর্শনে যান। বক্তৃতার পুরো সময় তিনি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করেছেন এবং পাকিস্তানকে হুমকি দিয়েছেন।

সেনাদের উদ্দেশে মোদি বলেছেন, ‘ভারতবাসী আপনাদের জন্য গর্বিত.

.. আপনারা ইতিহাস রচনা করেছ। আমি আপনাদের আশীর্বাদের জন্য এসেছি... সন্ত্রাসীরা আমাদের সাহস দেখিয়েছিল... কিন্তু আপনারা তাদের উপর সরাসরি আঘাত করেছেন। আপনারা তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছেন এবং ১০০ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছেন। তারা বুঝতে পেরেছে যে যদি তারা আমাদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ধ্বংস হবে।”

এসময় মোদি হিন্দুত্ববাদী স্লোগান ‘ভারত মাতা কি জয়’ নিয়েও কথা বলেন।

তিনি বলেন, “ভারত মাতা কি জয় কোনো শপথ নয়... এটি দেশের প্রতিটি সৈনিকের শপথ, যারা ভারত মাতার সম্মান ও মর্যাদার জন্য নিজের জীবন বাজী রাখে... এটি যুদ্ধক্ষেত্র এবং অভিযানে প্রতিধ্বনিত হয়। যখন ভারতের সেনারা ভারত মাতা কি জয় বলে, তখন শত্রুর হৃদয় কেঁপে ওঠে।”

মোদি বলেন, ভারতের সেনারা পাকিস্তানকে বলেছে যে সন্ত্রাসীরা বসে স্বাধীনভাবে শ্বাস নিতে পারে এমন কোনো ‘নিরাপদ জায়গা নেই। আমরা তাদের বাড়িতে ঢুকে তাদের হত্যা করব এবং তাদের পালানোর কোনো সুযোগ দেব না।”

প্রসঙ্গত, ৭ মে পাকিস্তানের ওপর হামলা চালায় ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শনিবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। ৭ তারিখ থেকে ১১ তারিখ পুরো পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি মোদি। ১২ মে তিনি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে পাকিস্তানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন এবং হামলায় ভারতীয় সেনাদের কৃতিত্ব তুলে ধরেন।

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল: ট্রফি নিয়ে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ফুটবল–উৎসব

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত ‘ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’–এর ট্রফি ট্যুর শেষ হলো আজ। ১২ নভেম্বর চট্টগ্রামে শুরু হয় এই ট্রফি ট্যুর। পরপর দুই দিনে চট্টগ্রামের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে ট্রফি ঢাকায় আসে ১৫ নভেম্বর। ঢাকায় টানা তিন দিনব্যাপী ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রফি ট্যুর শেষ হয় আজ।

আরও পড়ুনটাইব্রেকারের ‘কালো জাদু’র অভিযোগ নাইজেরিয়ার, বিশ্বকাপ–স্বপ্ন ভেঙে চুরমার৩৭ মিনিট আগে

এ উদ্যোগে সাড়া পড়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ট্রফির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণের মাধ্যমে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, খেলোয়াড় ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে প্রতিটি ক্যাম্পাসই কিছু সময়ের জন্য পরিণত হয় ফুটবল–উৎসবের মঞ্চে।

বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আলো ট্রফি ট্যুরের একটি মুহূর্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ