Prothomalo:
2025-11-17@14:30:00 GMT

সোনা পাহাড়ের মায়া

Published: 15th, May 2025 GMT

দক্ষিণ সোনা পাহাড়। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার একটি পাহাড়ি জনপদের নাম। চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কিছু মানুষ এখানে প্রকৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীজুড়ে পরিবেশ ও উন্নয়নের দ্বন্দ্বে যেখানে সবুজ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে, মানুষের হাতে প্রকৃতির নিধনযজ্ঞ চলছে সবখানে, সেখানে প্রকৃতিকে নিজের মতো থাকতে দেওয়ার এ উদ্যোগ মানুষকে মুগ্ধ করে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে মিরসরাই এলাকায় মেঘের মতো আবছা দেখা যায় সোনা পাহাড়। তার পাশে সমতল ভূমিতে ইটভাটার জন্য মাটি কাটা আর বৃক্ষ নিধনের উৎসব চলত। মাটি কেটে ফেলায় এলাকাটি হয়েছিল বড় বড় খাদসর্বস্ব গাছশূন্য প্রান্তর। অতীতের সব সমৃদ্ধি আর শোভা হারিয়ে জীর্ণদশা থেকে সোনা পাহাড়কে বাঁচাতে প্রকৃতিবাদী কিছু মানুষ নিতান্ত ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় এলাকার আদি পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। এ উদ্যোগের নাম দেন সোনা পাহাড়। কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় সোনা পাহাড় হয়ে উঠেছে দুর্লভ ভেষজ, ফলদ ও ফুল গাছের নিবিড় বনভূমি। খাদগুলোকে তাঁরা পরিণত করেছেন স্বচ্ছ জলাশয়ে। জলাশয়ের পাশে বসে অবিরাম পাখির ডাক শুনতে শুনতে কেমন মায়া হয়।

সোনা পাহাড়ের অন্যতম উদ্যোক্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘প্রকৃতির এখন বড় সংকট। সংকট থেকে রক্ষা পেতে প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে। এটা কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা একটা উদাহরণ তৈরি করতে চাই। একটা ছোট জায়গায় কাজ করে দেখছি। এটা দেখে কেউ যদি উৎসাহিত হয়, প্রকৃতির প্রতি যদি সদয় হয়, নিজেরাও যার যার এলাকায় ছোট করে হলেও সোনা পাহাড়ের মতো একটা জায়গা তৈরি করতে পারে।’

সোনা পাহাড়ের আশপাশে এখনো ইটভাটা আছে। এখানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মুরগির খামার ছিল। তারও আগে এটি ছিল ইটের ভাটার জন্য মাটি সংগ্রহের স্থান। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘কিছু বড় ও পুরোনো গাছ ছাড়া পুরো জায়গাটা খটখটে ছিল। কিছু মানুষ এখানে গাছপালা লাগাইছে। বড় সুন্দর হইছে।’

সোনা পাহাড়ের আয়তন প্রায় ৬ একর বা ১৮ বিঘা। এখানে চারটি জলাশয় আছে। এগুলোর আয়তন ১ দশমিক ৭৮ একর। চারপাশে গাছপালার ভেতর আকাশ ও কুসুম নামে দুটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। মাধবীলতা নামে একটি দোতলা ভবন ও ডেক আছে। পুকুরের পানির ওপর একটি ডেক এবং পুকুরদ্বীপের ওপর একটি দোতলা ডেক রয়েছে। সব মিলিয়ে সোনা পাহাড়কে মনে হবে প্রকৃতিবান্ধব একটি পর্যটনকেন্দ্র।

দোতলা ভবন মাধবীলতার পাশেই রয়েছে ফুল ও ফলের গাছে ঘেরা সুইমিংপুল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রক ত

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে ৫ দিন ধরে দোকান কর্মচারি সাফিদ নিখোঁজ 

বন্দরে বাসা থেকে বের হয়ে পাঞ্জাবি দোকানের কর্মচারি সাফিদ (২২) নামে এক যুবক গত ৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ সাফিদ বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের সালেহনগর এলাকার মোক্তার হোসেন মিয়ার ছেলে।

অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করে নিখোঁজ যুবকের কোন হদিস না পেয়ে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে নিখোঁজের মা খোরশেদা বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করেন। যার জিডি নং- ৯৪১ তাং- ১৭-১১-২০২৫ইং।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর থানার সালেহনগরস্থ তার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে ওই যুবক নিখোঁজ হয়।

এ ব্যাপারে নিখোঁজ জিডি বাদিনী খোরশেদা বেগম গণমাধ্যমকে জানায়, তার ছেলে সাফিদ দীর্ঘ দিন ধরে শহরে একটি পাঞ্জাবি দোকানে কর্মচারি হিসেবে কাজ করে আসছিল।

এর ধারাবাহিকতা গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার নয়ন ও একই এলাকার সাজু নামে তার দুই বন্ধু আমার নিজ বাড়ি থেকে আমার ছোট ছেলে সাফিদকে ডেকে নিয়ে যায়।

এর পর থেকে আমার ছেলে গত ৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়। তার ব্যবহারকৃত ০১৪০৬৮০০৯৬০ নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করে আমার সন্তানের কোন হদিস না পেয়ে এ ব্যাপারে আমি বন্দর থানায় নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করি।

পুলিশ নিখোঁজ জিডি পেয়ে নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পাওয়ার জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যহত রেখেছে।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ