অপহরণের একুশ দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি ২ বোন, গ্রেপ্তার ১
Published: 17th, May 2025 GMT
নোয়াখালী সদর উপজেলায় অপহরণের ২১ দিন পরও দুই বোনকে উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে, পুলিশ বলছে মামলা দায়েরের পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্যদিকে, দুই বােন উদ্ধার না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে তাদের পরিবার।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরের দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফখরুল ইসলাম বলেন, গতকাল শুক্রবার এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সাত ধারায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের রামানন্দী গ্রামের ফয়েজ মিস্ত্রি বাড়ি থেকে দুই বোন এসএসসি পরীক্ষার্থী তাহরিম হারুন ফালাহ (১৬) ও তার ছোট বোন তাছনুবা হারুন তাহা (১২) অপহরণের শিকার হন।
দুই স্কুল ছাত্রীর মা ফরিদা আক্তার জানান, তার বড় মেয়ে তাহরিম হারুন ফালাহ স্থানীয় পানা মিয়া টি.
তিনি আরো জানান, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় আমার ঘরের বাইরে অবস্থানের সুযোগে পূর্বের ঘটনার জের ধরে শাওন ও তার সহযোগীরা ঘরে ঢুকে দুই মেয়ে তাহরিম হারুন ফালাহ ও তাছনুবা হারুন তাহাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাদেরকে না পেয়ে শাওনের পরিবারকে বিষয়টি অবগত করলে তারা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
দুই স্কুল ছাত্রীর মামা ওয়াহিদুর রহমান অপু বলেন, “গত ২১দিন ধরে আমার দুটি ভাগ্নি অপহৃত অবস্থায় রয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ করার পরও পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করতে পারেনি। এই নিয়ে একাধিকবার পুলিশ অভিযুক্ত সাজ্জাদুর রহমান শাওনের পরিবারের সঙ্গে থানায় বৈঠকও করেছে। কিন্তু কোন সন্ধান বের করতে পারেনি। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শাওনের পরিবারকে নিয়ে থানায় বৈঠক করলেও আমার ভাগ্নিদের কোন তথ্য না পাওয়ায় থানা পুলিশ আমার বড়বোন ফরিদা আক্তার থেকে এজাহার গ্রহণের পর অভিযুক্ত শাওনকে গ্রেপ্তার করে।”
অপহৃত ছাত্রীদের বাবা হারুন অর রশিদ বলেন, “আমার বড় মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার ৬টি বিষয় শেষ করে। ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে পরের দিনের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওই সময় বখাটে শাওন ও তার সহযোগীরা আমার বড় মেয়ের সঙ্গে সঙ্গে ছোট মেয়েকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়। জানি না আমার মেয়েরা কোথায় আছে, কেমন আছে। এখন তথ্য-প্রযুক্তির যুগ, কিন্তু ঘটনার ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো আমার মেয়েদের উদ্ধার করতে পারেনি। আমি আমার মেয়েদের সন্ধান চাই।”
সুধারাম মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাজ্জাদুর রহমান শাওন (২০) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপহরণের শিকার দুই বোনকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।”
ঢাকা/সুজন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর দ র রহম ন অপহরণ র বড় ম য় র করত
এছাড়াও পড়ুন:
কৌশলে অপহরণকারীর কাছ থেকে বাঁচল কিশোর
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে আসা কয়েকজন ব্যক্তি অপহরণ করে স্কুলছাত্র সাহেদ আহম্মেদ সিয়ামকে। অনেকটা পথ অতিক্রম করার পর অপহরণকারীদের একজন গাড়ি থেকে নামেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড় শুরু করে সিয়াম। আশ্রয় নেন একটি বাড়িতে।
রবিবার (২৯ জুন) বিকেল ৫টার দিকে ঝিনাইদহের আমতলা বাজার এলাকা থেকে সিয়ামকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিয়ামকে অপহরণ করা হয়।
সিয়াম মাগুরার মহম্মদপুর থানার কাওড়া গ্রামের সাইফুদ্দিন শামিমের ছেলে। সে বিনোদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে একটি কেন্দ্রে ভুল সেটে পরীক্ষা গ্রহণ
চাকসু নির্বাচনসহ ৭ দাবিতে চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন
ভুক্তভোগী সিয়াম ও তার চাচা শায়েখউদ্দিন সোহান জানান, সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে নাম না জানা ব্যক্তিরা সিয়ামকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। অনেকটা পথ যাওয়ার পর সিয়ামকে গাড়িতে রেখে অপহরণকারীদের একজন প্রস্রাব করতে নামেন। এসময় সিয়াম কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়াতে শুরু করে।
অপহরণকারীরা ধরার চেষ্টা করলে সিয়াম ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ সদরের আমতলা বাজারের পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বাড়িরটির লোকজন সিয়ামের কাছ থেকে তার চাচার নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করেন।
ছেলের অবস্থান জানতে পেরে সিয়ামের পরিবার ঝিনাইদহ সদর থানায় যোগাযোগ করেন। বিকেল ৫টার দিকে সদর থানা পুলিশের একটি টিম সিয়ামকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
ভুক্তভোগী সিয়ামের বাবা সাইফুদ্দিন শামিম বলেন, “এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করব। তাদের ঘটনার সব তথ্য জানানো হয়েছে।”
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, “স্বজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র সিয়ামকে উদ্ধার করেছে। তাকে তার বাবা ও চাচার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বজনরা মহম্মদপুর থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ