নারী উদ্যোক্তাদের প্ল্যাটফর্ম ‘সম্পূর্ণা বাংলাদেশ’ সংগঠনের আয়োজনে গত ১৮ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় তৃতীয়বারের মতো হয়েছে ‘গ্রীন-ই সম্পূর্ণা বাংলাদেশ ২০২৫’ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। এতে একই মঞ্চে সম্মাননা পেয়েছেন তারকা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তাঁর বোন মালাইকা চৌধুরী।
সম্মাননা প্রাপ্তির অনুভূতি জানিয়ে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘যে কোনো সম্মাননা প্রাপ্তি অনেক গৌরবের। কাজের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়। দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। সম্পূর্ণা বাংলাদেশের আয়োজনটি অসাধারণ ছিল। এই আয়োজনে আমাকে ও আমার বোনকে সম্মানিত করায় আমরা সত্যিই ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছি। সম্মাননা পেয়ে ভালো লাগছে’।
মালাইকা চৌধুরী বলেন, সম্মাননা মানে কাজের স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি একই মঞ্চে বোনের সঙ্গে পেয়ে আরও ভালো লাগছে। অভিনয় ক্যারিয়ার বেশি দিনের নয়। এই অল্প সময়ের মধ্যে দর্শকের যে ভালোবাসা পেয়েছি তা অকল্পনীয়। আগামী চলার পথে সবার সহযোগিতা চাই। সবার কাছে দোয়া চাই। আগামীতে যেন আরও ভালো কিছু কাজ উপহার দিয়ে দর্শক মন জয় করতে পারি।’
মেহজাবীন-মালাইকা ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল নারীদের মধ্যে সম্মাননা পেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী সোমনূর মনির কোনাল, তানজিন মিথিলা, ফ্যাশন হাউজ ‘গয়না বাকসো’র প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার টুম্পা ফেরদৌস, ফ্যাশন হাউজ ‘সেলিব্রিটিস চয়েজ’ ও ‘তিশাস বিউটি হাব’র কর্ণধার ফারহানা সামাদ তিশা, মডেল অভিনেত্রী ও আইনজীবী, মডেল জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়াসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রদান করা হয় কিংবদন্তি অভিনেত্রী ডলি জহুরকে।
প্রসঙ্গত, ‘আমি নারী আমি সম্পূর্ণা’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে ২০২২ সালে বাংলাভিশনের সিনিয়র প্রযোজক সুব্রত দে প্রতিষ্ঠা করেন ‘সম্পূর্ণা বাংলাদেশ’। প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন টিভি অভিনেত্রী স্বর্ণলতা দেবনাথ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন চ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?