ইউরোপের দলের সঙ্গে খেলতে চায় বাংলাদেশ
Published: 30th, May 2025 GMT
ফর্টিস এফসি ও চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যাচ দিয়ে কাল শেষ হয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের ২০২৪–২৫ মৌসুম। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে শুরু হবে নতুন মৌসুম। তার আগে ১ জুন থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত দলবদলের সময় পাবে ক্লাবগুলো। ২০২৫–২৬ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগসহ মোট পাঁচটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় বাফুফে। যার মধ্যে থাকছে বহুল আলোচিত সুপার কাপও।
কাল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) পেশাদার লিগ কমিটির তৃতীয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনলাল-সবুজ জার্সিতে খেলতে আর তর সইছে না ফাহামিদুলের২২ ঘণ্টা আগেআগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর ফিফা উইন্ডোর মাঝে ইউরোপের কোনো দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে চায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। যা নিয়ে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল বলেছেন, ‘আমরা সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে ম্যাচ খেলব। সেটা অ্যাওয়ে হতে পারে আবার হোমও হতে পারে। অ্যাওয়ে হলে আমাদের ইচ্ছা আছে ইউরোপের কোনো দেশের সঙ্গে খেলা।’
গত মৌসুমেই সুপার কাপ আয়োজনের চেষ্টা করেছিল লিগ কমিটি। শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। এবার সেটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা। সুপার কাপে খেলবে ২০২৪–২৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ চার ক্লাব—মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, আবাহনী লিমিটেড, বসুন্ধরা কিংস ও রহমতগঞ্জ। এ ছাড়া লিগ শেষ হওয়ার পর আগামী বছরের ২৩ এপ্রিল থেকে মাঠে গড়াবে স্বাধীনতা কাপ। যেখানে কেবল স্থানীয় ফুটবলারাই অংশ নিতে পারবেন। আর নতুন মৌসুম থেকে লিগের চ্যাম্পিয়ন দলকেই কেবল ট্রফি দেওয়া হবে। রানার্সআপ দল ট্রফি পাবে না।
বৈঠকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প ট ম বর ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ