খুলনায় ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে
Published: 30th, May 2025 GMT
খুলনার কয়রা উপজেলায় মো. শহিদুল গাজী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার ছোট ভাই মো. সাহেব আলী গাজীকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার উলা গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কয়রা থানার ওসি মো. ইমদাদুল হক সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হত্যায় জড়িত শহিদুল গাজীকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, দুপুরে শহিদুল গাজী তার স্ত্রীকে মারধরে করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। এ সময় তার চিৎকারে পাশের বাড়ি থেকে সাহেব আলী গাজী ছুটে গিয়ে ভাবিকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। তখন শহিদুল হাতে থাকা শাবল দিয়ে সাহেব আলীকে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর শহিদুল বটি দিয়ে ছোট ভাই সাহেব আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে।
একপর্যায়ে শহিদুলের স্ত্রী চিৎকার করতে করতে দৌঁড় দেন। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিলে গেলে শহিদুল দৌঁড়ে বিল পাড়ি দিয়ে বারোপোতা গ্রামে যায়। এরপর হাতে থাকা শাবলের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে জোর করে সন্তোষ মিস্ত্রির ঘরে ওঠে। তখন স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে আটক করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কয়র ক প য় হত য স হ ব আল
এছাড়াও পড়ুন:
সাঙ্কু পাঞ্জাকে শুটিংয়ে এনে মান্না বলেছিলেন, ‘ও একদিন মেইন ভিলেন হবে’
খল অভিনেতা সাঙ্কু পাঞ্জা মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঢালিউডের অসংখ্য সিনেমায় খল চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। এর মধ্যে খল চরিত্রে নির্মাতা মালেক আফসারীর প্রথম পছন্দ ছিলেন। এই নির্মাতার সিনেমা মানেই খল চরিত্রে সাঙ্কু পাঞ্জা। অভিনেতার মৃত্যুর খবর এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে শুনে বাক্রুদ্ধ হয়ে যান আফসারী। জানান দুই যুগের সম্পর্কের জানা-অজানা নানা কথা।
আরও পড়ুনখল অভিনেতা সাঙ্কু পাঞ্জা মারা গেছেন১৩ ঘণ্টা আগেমালেক আফসারীর পরিচালনায় ‘লাল বাদশাহ’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন সাঙ্কু পাঞ্জা। এরপর এই পরিচালকের ‘জেল থেকে বলছি’, ‘মরণ কামড়’, ‘ঠেকাও মাস্তান’, ‘মনের জ্বালা’, ‘অন্তর জ্বালা’, ‘পাসওয়ার্ড’–সহ ব্যবসাসফল আরও বেশ কিছু সিনেমায় দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। মালেক আফসারী জানান, সাঙ্কু পাঞ্জাকে তাঁর কাছে নিয়ে আসেন নায়ক মান্না।
মালেক আফসারী বলেন, ‘তখন মান্নার কৃতাঞ্জলি প্রোডাকশনের “লাল বাদশাহ” সিনেমার শুটিং করছিলাম। মান্না একটা ছেলেকে নিয়ে এসে বলল, “ভাই, এই ছেলেটা কেমন? ওরে এই সিনেমায় নিতে চাই। সময় দিলে ওরে মেইন ভিলেন বানানো যাবে ভাই, ও একদিন মেইন ভিলেন হবে ভাই।” মান্না তো নাছোড়বান্দা, কিছু বলেছে মানে তা করতেই হবে। এভাবেই আমার সঙ্গে ও যুক্ত হয়। এরপর “জেল থেকে বলছি”–সহ আমার বেশির ভাগ সিনেমায় সাঙ্কু অভিনয় করেছে।’
সাঙ্কু ও মালেক আফসারীর মধ্যে সম্পর্ক ছিল হৃদ্যতার। এই নির্মাতা জানান, কখনো মজুরি ও সময় নিয়ে আলাপ করতেন না সাঙ্কু। নির্মাতার কথায়, ‘তিন দিনের শিডিউল চাইলে ছয় দিন দিতো, কখনো রেমুনারেশন চেয়ে নেয়নি আমার কাছে। অনেক সম্মান করত আমায়। উৎসব-পার্বণে নিয়মিত ফোন দিত, স্বাস্থ্যের খোঁজ নিত। ওর মৃত্যুটা অনেক কষ্ট দিয়েছে আমায়।’
১৯৯৭ সালে ‘মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় সাঙ্কু পাঞ্জার। তাঁর উল্লখেযোগ্য সিনেমার মধ্যে আরও রয়েছে ‘জাদরেল সন্তান’, ‘ধর মাস্তান’, ‘ক্ষমতার গরম’।