ইকুয়েডর ০ : ০ ব্রাজিল

নিজের প্রথম ম্যাচেই হতশ্রী ব্রাজিল দলকে কার্লো আনচেলত্তি আমূল বদলে দেবেন, এমন প্রত্যাশা হয়তো কেউ করেননি। কিন্তু ব্রাজিলের পারফরম্যান্সে আতবিশ্বাস ও উন্নতির আশা নিশ্চয় অনেকেরই ছিল। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি।

ব্রাজিলের পারফরম্যান্স আনচেলত্তির চেয়ে বরং গত মার্চে আর্জেন্টিনার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নেওয়া দরিভাল ‍জুনিয়রকেই বেশি মনে করিয়ে দিচ্ছিল। পুরো ম্যাচে বলার মতো তেমন কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি আনচেলত্তির শিষ্যরা। এমনকি ইকুয়েডর যদি ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা না দেখাত, তবে গোল শূন্য ড্র হওয়ার পরিবর্তে এই ম্যাচে হারতেও পারত ব্রাজিল।

এই ড্রয়ে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ইকুয়েডর আছে দুই নম্বরে।  

আরও পড়ুনএ মাসেই বিশ্বকাপের টিকিট পেতে ব্রাজিলের কী হিসাব, আর কারা পাচ্ছে টিকিট১২ ঘণ্টা আগে

আনচেলত্তির প্রথম দিনের অনুশীলনের পরই ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশের কথা জানায় ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো। ইকুয়েডরের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে নিজের প্রথম ম্যাচে সেই একাদশই মাঠে নামান ইতালিয়ান এই কোচ। তবে আনচেলত্তির অধীনে এখনো মানিয়ে নিতে না পারার বিষয়টি ব্রাজিলের খেলায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।

হুটহাট কিছু ভালো আক্রমণ তৈরি করলেও, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার বেশ অভাব ছিল। বল দখলে রাখতেও বেশ হিমশিম খাচ্ছিল ব্রাজিল। এ সময় ব্রাজিলের চেয়ে ইকুয়েডরই তুলনামূলকভাবে বেশি উজ্জ্বল ছিল। তবে প্রথমার্ধে গোল পায়নি তারাও।

বিরতির পর ব্রাজিলকে চেপে ধরে ইকুয়েডর। শুরু থেকেই আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করে তারা। কিন্তু বক্সের কাছাকাছি গিয়ে খেই হারাচ্ছিল ইকুয়েডরের খেলোয়াড়রা। মাঝমাঠে ভালো খেললেও ফিনিশিংয়ে ইকুয়েডর খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না।

ইকুয়েডরের চাপের মুখে একপর্যায়ে জোড়া বদল আনেন আনচেলত্তি। রিচাার্লিসন ও এস্তেভাওয়ের পরিবর্তে মাঠে নামেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও ম্যাথিউস কুনিয়া। কিন্তু তাতেও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি ব্রাজিলের খেলায়।

ইকুয়েডরের ওপর সাময়িক কিছু চাপ প্রয়োগ করলেও তা গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৭৬ মিনিটে কাসেমিরোর শট ঠেকিয়ে ইকুয়েডরকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ভালে। এই ম্যাচের বেশিরভাগ সময় নিজেদের ছায়াতেই ঢাকা ছিলেন ব্রাজিলের আক্রমণভাগের খেলেোয়াড়রা।

ম্যাচের শেষ দিকে ব্রাজিলের ওপর বেশ চাপ প্রয়োগ করে ইকুয়েডর। তবে ব্রাজিলের রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়েও শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত গোলটি আদায় করতে পারেনি ইকুয়েডর। ঘরের মাঠে পয়েন্ট ভাগ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ধোনি কেন আইপিএল ছাড়তে পারছেন না: পেছনে হাজার কোটি টাকার খেলা

বয়স ৪৪, শরীরও আর আগের মতো চলছে না। তবু মহেন্দ্র সিং ধোনি আইপিএল ছাড়েননি। সর্বশেষ মৌসুমে খেলেছেন, শোনা যাচ্ছে, পরের মৌসুমেও খেলবেন। অথচ তাঁর মাঠের পারফরম্যান্স বলছে, সময় ফুরিয়েছে। তবু তিনি খেলে যাচ্ছেন কেন? ক্রিকেট ছাড়তে পারছেন না তাই? নাকি খ্যাতির মোহ? সত্যিটা এসবের চেয়েও বড়—ধোনি এখন শুধুই একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একটি বিশাল অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমের মূল স্তম্ভ, যাঁর বিদায় মানে অনেক কিছুর ধস।

চলুন দেখা যাক, কীভাবে ধোনির একটুখানি মাঠে থাকা বদলে দেয় বিশাল অঙ্কের হিসাব।২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ব্র্যান্ড ভ্যালু

২০২৫ আইপিএল ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ইতিহাসেই সবচেয়ে বাজে মৌসুম। পয়েন্ট তালিকায় একেবারে তলানিতে থেকে মৌসুম শেষ করেছে তারা। কিন্তু অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার, এর কোনো প্রভাবই পড়েনি সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালুতে; বরং সামান্য বেড়েছে!
হুলিহ্যান লোকির ‘আইপিএল ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন স্টাডি ২০২৫’ প্রতিবেদন বলছে, ২০২৫ সালে সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়ে হয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা ২০২৪ সালে ছিল ২৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। যদিও আইপিএলের সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজির র‍্যাঙ্কিংয়ে চেন্নাই ১ নম্বর থেকে তিনে নেমে গেছে, কিন্তু সেটা পুরোপুরি মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে নয়।
তুলনা করে দেখা যাক—রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) প্রথমবার আইপিএল জেতায় তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারে, উঠে এসেছে ১ নম্বরে। অথচ সিএসকে কিছু না করেই সেরা তিনে আছে শুধু একজনের জন্য—ঠিক ধরেছেন, এম এস ধোনি!

আরও পড়ুনফিক্সিং, বিদ্রোহ এবং ষড়যন্ত্রে ভরা ড্রেসিংরুম: পাকিস্তান ক্রিকেটের অস্থির অধ্যায়২৭ জুলাই ২০২৫দর্শকসংখ্যায় ‘ধোনি ইফেক্ট’

২০২৩ আইপিএলের একটি মুহূর্তই বলে দেয়, ধোনির উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাত্র ৩ বল খেলেছিলেন ধোনি, করেছিলেন ১২ রান। তাতেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ভিউয়ারশিপ পৌঁছায় ১ কোটি ৭০ লাখে, যা ছিল সে মৌসুমের সর্বোচ্চ। এমনকি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের ১ কোটি ৬০ লাখ ভিউয়ারকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল ধোনির সেই ৩ বল স্থায়ী ইনিংসটা!
টিএএম মিডিয়া রিসার্চ বলছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরও ধোনি দিনে গড়ে বিভিন্ন প্লাটফর্মে ১৪ ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম ধরে রেখেছেন। ২০২৪ সালে তিনি ৪২টি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করেছেন, যা অমিতাভ বচ্চন (৪১) ও শাহরুখ খানের (৩৪) চেয়েও বেশি।

মহেন্দ্র সিং ধোনি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 
  • ধোনি কেন আইপিএল ছাড়তে পারছেন না: পেছনে হাজার কোটি টাকার খেলা