আনচেলত্তির অভিষেকে মন ভরাতে পারল না ব্রাজিল
Published: 6th, June 2025 GMT
ইকুয়েডর ০ : ০ ব্রাজিল
নিজের প্রথম ম্যাচেই হতশ্রী ব্রাজিল দলকে কার্লো আনচেলত্তি আমূল বদলে দেবেন, এমন প্রত্যাশা হয়তো কেউ করেননি। কিন্তু ব্রাজিলের পারফরম্যান্সে আতবিশ্বাস ও উন্নতির আশা নিশ্চয় অনেকেরই ছিল। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি।
ব্রাজিলের পারফরম্যান্স আনচেলত্তির চেয়ে বরং গত মার্চে আর্জেন্টিনার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নেওয়া দরিভাল জুনিয়রকেই বেশি মনে করিয়ে দিচ্ছিল। পুরো ম্যাচে বলার মতো তেমন কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি আনচেলত্তির শিষ্যরা। এমনকি ইকুয়েডর যদি ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা না দেখাত, তবে গোল শূন্য ড্র হওয়ার পরিবর্তে এই ম্যাচে হারতেও পারত ব্রাজিল।
এই ড্রয়ে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ইকুয়েডর আছে দুই নম্বরে।
আরও পড়ুনএ মাসেই বিশ্বকাপের টিকিট পেতে ব্রাজিলের কী হিসাব, আর কারা পাচ্ছে টিকিট১২ ঘণ্টা আগেআনচেলত্তির প্রথম দিনের অনুশীলনের পরই ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশের কথা জানায় ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো। ইকুয়েডরের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে নিজের প্রথম ম্যাচে সেই একাদশই মাঠে নামান ইতালিয়ান এই কোচ। তবে আনচেলত্তির অধীনে এখনো মানিয়ে নিতে না পারার বিষয়টি ব্রাজিলের খেলায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।
হুটহাট কিছু ভালো আক্রমণ তৈরি করলেও, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার বেশ অভাব ছিল। বল দখলে রাখতেও বেশ হিমশিম খাচ্ছিল ব্রাজিল। এ সময় ব্রাজিলের চেয়ে ইকুয়েডরই তুলনামূলকভাবে বেশি উজ্জ্বল ছিল। তবে প্রথমার্ধে গোল পায়নি তারাও।
বিরতির পর ব্রাজিলকে চেপে ধরে ইকুয়েডর। শুরু থেকেই আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করে তারা। কিন্তু বক্সের কাছাকাছি গিয়ে খেই হারাচ্ছিল ইকুয়েডরের খেলোয়াড়রা। মাঝমাঠে ভালো খেললেও ফিনিশিংয়ে ইকুয়েডর খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না।
ইকুয়েডরের চাপের মুখে একপর্যায়ে জোড়া বদল আনেন আনচেলত্তি। রিচাার্লিসন ও এস্তেভাওয়ের পরিবর্তে মাঠে নামেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও ম্যাথিউস কুনিয়া। কিন্তু তাতেও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি ব্রাজিলের খেলায়।
ইকুয়েডরের ওপর সাময়িক কিছু চাপ প্রয়োগ করলেও তা গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৭৬ মিনিটে কাসেমিরোর শট ঠেকিয়ে ইকুয়েডরকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ভালে। এই ম্যাচের বেশিরভাগ সময় নিজেদের ছায়াতেই ঢাকা ছিলেন ব্রাজিলের আক্রমণভাগের খেলেোয়াড়রা।
ম্যাচের শেষ দিকে ব্রাজিলের ওপর বেশ চাপ প্রয়োগ করে ইকুয়েডর। তবে ব্রাজিলের রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়েও শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত গোলটি আদায় করতে পারেনি ইকুয়েডর। ঘরের মাঠে পয়েন্ট ভাগ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
‘লিচুর বাগান’ দেখে সাবিলাকে নিয়ে যা বললেন চয়নিকা চৌধুরী
ঈদের সিনেমার প্রচারণা এখন তুঙ্গে। ট্রেইলার, টিজার প্রকাশের পর প্রকাশিত হচ্ছে সিনেমার গান।সম্প্রতি রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তাণ্ডব’ সিনেমার একই ডান্স নাম্বার প্রকাশিত হয়েছে। যদিও বেশিরভাগ মানুষ এই গানকে আইটেম গান ভেবে ভুল করছেন। সে যাইহোক, লিচুর বাগানে গানটিতে সাবিলা নূরকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এবং সাবিলা নূর নিজেকে কতটুকু উপস্থাপন করতে পেরেছেন— এ বিষয় নিয়ে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছেন গুণী পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী।
তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘এই লেখাটি আমার একদম ব্যাক্তিগত। আর লেখাটি শুধু মাত্র এই ছবির মেয়েটির জন্যে। শুধুই তার জন্যে।সিনেমায় এসে হঠাৎ করেই কেউ এসে মন জয় করে ফেলবে আর দর্শক প্রিয় হবে, এমন ভাবাটা বোকামি। রায়হান রাফীর তাণ্ডবের লিচু বাগান গানটি দেখলাম। গানটা হঠাৎ করে ভালো লাগবে সেটা বলবো না। গানটা শুনতে শুনতে ভালো লাগবে। তবে আমার চোখ ছিল একদম একজন দর্শক এবং পরিচালকের চোখ।’’
একজন পরিচালক হিসেবে চায়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘গানে সাদা পোশাক পরা অংশটা দারুণ। মনে হয়েছে বোম্বের কোনো ফিল্মের গান।কিন্ত প্রথম অংশের ডান্স এর জায়গায় তার পারফরম্যান্স দেখে আমি রীতিমত মুগ্ধ।আমার চোখে এমন কোরিওগ্রাফিতে ডান্স যথেষ্ট কঠিন। আর এই কঠিন কাজটি এই মেয়েটি রিদমের সাথে সাবলীলভাবে করেছে। যেন তার কাছে এটা কোন ব্যাপারই না। প্রতিটি স্টেপ্স, ড্রেসআপ আর এক্সপ্রেশন, ডান্স এর মুভমেন্ট, রিদম একদম পারফেক্ট। সবচেয়ে যেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে এই ফিল্মের গান সবার সাথে বসে দেখা যায়।মার্জিত।’’
আরো পড়ুন:
শাকিব খানের সঙ্গে নাচার অভিজ্ঞতা জানালেন ফারিণ
দুই সুন্দরীকে বড় পর্দায় দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন মেহজাবীন
চয়নিকা চৌধুরী মনে করেন, ‘‘এই গানে একটা শটেও ভাল্গারিজম ছিল নাই। এটি পুরোপুরি একটি কমার্শিয়াল গান, সব কিছুই আছে কিন্ত কোন আরোপিত দেখানো শটস নেই যা দেখলে বিব্রত হতে হয় সবার সামনে। এইসব গানে ইচ্ছা করেই শরীর দেখানোর ব্যাপারগুলো দেখেছি এর আগে। কিন্ত এখানে সবই ছিল কিন্ত খুব ন্যাচারাল, ড্রেসআপ একদমই মেয়েটির জন্য ঠিকঠাক মানে সে ক্যারি করতে পেরেছে, তাকে মানিয়েছে। আর সে যে কত সুন্দর! কত যে সুন্দর লেগেছে তাকে! মায়াবী, গ্ল্যামার সবকিছুই পারফেক্ট।’’
চয়নিকা চৌধুরী আরও লিখেছেন, ‘‘আমার দেশের এত বড় অনলি ওয়ান একজন মেগাষ্টার শাকিব খানের সাথে অভিনয় করে এমন একটি পারফরম্যান্স করা বিশাল ব্যাপার। অনেক নার্ভাস থাকার কথা। যদিও সহশিল্পীর সহযোগিতা, পুরো টীমের সাপোর্ট, ডিরেক্টরের ইনভলবমেন্ট সবই ছিল। তারপরেও মনেই হচ্ছিল না সে নতুন, এটাই তার প্রথম।’’
সাবিলা নূরকে অভিনন্দন জানিয়ে চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘সাবিলা নূর অভিনন্দন তোমাকে । এমন গান তো প্রায় সিনেমায় দেখি। আমার দেখা এই অবধি আমার দেশের এমন একটি গানে তুমিই বেষ্ট বেষ্ট বেষ্ট। সিনেমা তো ঈদের দিনেই দেখবো।তার আগেই এই এতটুকু দেখেই আমি মুগ্ধ। আসলে কাজ দিয়েই জবাব দিতে হয় যা তুমি পেরেছ। অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অনেক দূর তুমি যাবে এই ফিল্ম ইন্ড্রাষ্ট্রিতে। আমার বিশ্বাস।’’
চয়নিকা চৌধুরী তান্ডব টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অভিনন্দন জানিয়েছেন এই সিনেমার প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিলকেও।
চয়নিকা চৌধুরী তার পোস্টের শেষে একটি বাক্য জুড়ে দিয়েছেন, ‘‘লেখাটা আসলে শুধুই সাবিলা নূরের জন্যে ছিল।’’
ঢাকা/লিপি