টানা চতুর্থ জয় পেল আর্জেন্টিনা। শুক্রবার ভোরে চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন জুলিয়ান আলভারেস।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আর্জেন্টিনা যে দোর্দন্ড দাপট দেখাচ্ছিল, সেটাই ধরে রেখেছিল চিলির বিপক্ষে। স্কোরলাইন দেখে সন্তুষ্টি নাও আসতে পারে, তবে মাঠের ফুটবলে আর্জেন্টিনা ছিল দুর্দান্ত।
সাত মাস পর আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। ৩৭ বছর বয়সী মেসি সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলেছেন গেল বছরের নভেম্বরে। এরপর পেশির চোটে মার্চ উইন্ডোতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের দুই ম্যাচে (প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে ও ব্রাজিল) অংশ নিতে পারেননি। তবে ইতিমধ্যেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
আরো পড়ুন:
৯ গোলের উৎসবের ম্যাচ, ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে স্পেন
গোলশূন্য ড্র ব্রাজিলের, শুরুটা ভালো হলো না আনচেলত্তির
আজ শুরুর একাদশে তাকে মাঠে নামাননি স্কোলানি। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ফিরে নিজের সহজাত খেলাটাই খেলতে থাকেন মেসি। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লক্ষ্যভেদ করতে না পারলেও চিলির রক্ষণ কাঁপিয়ে দিয়েছেন।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন আলভারেস। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে আলমাডা বল পেয়ে এগিয়ে যান। ডি বক্সেরে বাইরে থেকে বল বাড়িয়ে দেন আলভারেসের উদ্দেশ্যে। সেখানে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোল পায় আর্জেন্টিনা।
এদিকে এই ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছে ফ্রান্সকো মাসটানটুনোর। সর্বোকনিষ্ঠ খেলোয়াড় (১৭ বছর ২৯৫ দিন) হিসেবে আর্জেন্টিনা মূল দলে অভিষেক হলো তার। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপে সবার আগে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ১৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩৪। ২৪ পয়েন্ট করে নিয়ে পরের দুটি স্থানে আছে যথাক্রমে ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ে। ব্রাজিল ২২ পয়েন্ট নিয়ে আছে চারে। এই অঞ্চল থেকে শীর্ষ ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকেট পাবে।
ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।