পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল দলের হয়ে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট কোচ কার্লো আনচেলত্তির। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। শুরুটা একদমই ভালো না হাইপ্রোফাইাল কোচের।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিবর্ণ ফুটবল খেলে গোলশূন্য ড্র করেছে ব্রাজিল। একবারেই অগোছালো পারফরম্যান্স ব্রাজিলের। বল দখল, আক্রমণ, রক্ষণ এবং চিরচেনা যে সৌন্দর্য ব্রাজিল ফুটবলের, কিছুই ছিল না। বরং ভক্ত, সমর্থকরা বিরক্ত হচ্ছিলেন তাদের খেলা দেখে।

দরিভাল জুনিয়র যেখানে শেষ করেছিলেন আনচেলত্তি সেখানেই শুরু করলেন। ভালো খেলেনি ইকুয়েডরও। নয়তো গোল হজম করতে সময় লাগতো না ব্রাজিলের। পুরো ম্যাচে ৫৩ শতাংশ সময় বল দখল করে রেখেছিলো ইকুয়েডর। গোলমুখে শট নিয়েছিল সাতটি। অন টার্গেটে ছিল তিনটি। সেখানে ৪৭ শতাংশ বল দখলে রেখে ব্রাজিল তিনটি শট নিতে পারে কেবল। অন টার্গেটে ছিল দুই শট।

আরো পড়ুন:

রোনালদোর গোলে ২৫ বছর পর জার্মানিকে হারাল পর্তুগাল

গোল পেলেন হামজা, ভুটানকে ২-০ গোলে হারাল বাংলাদেশ

আনচেলত্তি-ভিনিসিয়াস জুটি জমে উঠেছিল রিয়াল মাদ্রিদদের তাঁবুতে। ব্রাজিল দলেও সেই ছন্দ দেখতে চায় ভক্তরা। প্রথম ম্যাচে ভিনিসিয়াস তেমন কিছুই করতে পারেননি। ২২ মিনিটে গোলের একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ইকুয়েডরের গোলরক্ষক গানসালো বল ফিরিয়ে দেন।

২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ব্রাজিল। ১৫ ম্যাচে দলটির পয়েন্ট ২২। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় থাকা আর্জেন্টিনা এই অঞ্চল থেকে সবার আগে ২০২৬ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে।

ক্লাব ফুটবলে অসংখ্য শিরোপা জেতা ইতালিয়ান কোচ আনচেলত্তি বিশ্বাস করেন ব্রাজিলকে হেক্সা জেতাতে পারবেন। প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়েই দায়িত্ব নিয়েছিলেন ব্রাজিলের। শুরুটা একেবারেই খারাপ হয়নি। তবে এই দলটাকে নিজের মতো করে গড়তে প্রচুর ঘাম ঝরাতে হবে সেই বার্তা প্রথম ম‌্যাচেই পেয়ে গেছেন আনচেলত্তি। পাঁচ দিন পর দেশের মাটিতে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে।

ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা

জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।

হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—

১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

আবেদনে যোগ্যতার শর্ত

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—

—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।

—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।

—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা

—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।

—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।

—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।

—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।

বৃত্তির সুবিধা

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:

১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।

২। মাসিক ভাতা।

—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।

—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।

—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।

—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।

—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।

—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।

—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেন্ট যোসেফের উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি, নিয়ম প্রকাশ
  • জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা