গোলশূন্য ড্র ব্রাজিলের, শুরুটা ভালো হলো না আনচেলত্তির
Published: 6th, June 2025 GMT
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল দলের হয়ে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট কোচ কার্লো আনচেলত্তির। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। শুরুটা একদমই ভালো না হাইপ্রোফাইাল কোচের।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিবর্ণ ফুটবল খেলে গোলশূন্য ড্র করেছে ব্রাজিল। একবারেই অগোছালো পারফরম্যান্স ব্রাজিলের। বল দখল, আক্রমণ, রক্ষণ এবং চিরচেনা যে সৌন্দর্য ব্রাজিল ফুটবলের, কিছুই ছিল না। বরং ভক্ত, সমর্থকরা বিরক্ত হচ্ছিলেন তাদের খেলা দেখে।
দরিভাল জুনিয়র যেখানে শেষ করেছিলেন আনচেলত্তি সেখানেই শুরু করলেন। ভালো খেলেনি ইকুয়েডরও। নয়তো গোল হজম করতে সময় লাগতো না ব্রাজিলের। পুরো ম্যাচে ৫৩ শতাংশ সময় বল দখল করে রেখেছিলো ইকুয়েডর। গোলমুখে শট নিয়েছিল সাতটি। অন টার্গেটে ছিল তিনটি। সেখানে ৪৭ শতাংশ বল দখলে রেখে ব্রাজিল তিনটি শট নিতে পারে কেবল। অন টার্গেটে ছিল দুই শট।
আরো পড়ুন:
রোনালদোর গোলে ২৫ বছর পর জার্মানিকে হারাল পর্তুগাল
গোল পেলেন হামজা, ভুটানকে ২-০ গোলে হারাল বাংলাদেশ
আনচেলত্তি-ভিনিসিয়াস জুটি জমে উঠেছিল রিয়াল মাদ্রিদদের তাঁবুতে। ব্রাজিল দলেও সেই ছন্দ দেখতে চায় ভক্তরা। প্রথম ম্যাচে ভিনিসিয়াস তেমন কিছুই করতে পারেননি। ২২ মিনিটে গোলের একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ইকুয়েডরের গোলরক্ষক গানসালো বল ফিরিয়ে দেন।
২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ব্রাজিল। ১৫ ম্যাচে দলটির পয়েন্ট ২২। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় থাকা আর্জেন্টিনা এই অঞ্চল থেকে সবার আগে ২০২৬ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে।
ক্লাব ফুটবলে অসংখ্য শিরোপা জেতা ইতালিয়ান কোচ আনচেলত্তি বিশ্বাস করেন ব্রাজিলকে হেক্সা জেতাতে পারবেন। প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়েই দায়িত্ব নিয়েছিলেন ব্রাজিলের। শুরুটা একেবারেই খারাপ হয়নি। তবে এই দলটাকে নিজের মতো করে গড়তে প্রচুর ঘাম ঝরাতে হবে সেই বার্তা প্রথম ম্যাচেই পেয়ে গেছেন আনচেলত্তি। পাঁচ দিন পর দেশের মাটিতে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে।
ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন
সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।
‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।
এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি