ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শনিবার (৭ জুন) পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি পুরো ভারতে পালন করা হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এদিন সকাল থেকে কলকাতার নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস ময়দান সহ বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ কলকাতার রেড রোডে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার মুসল্লী পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তারা একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাজ্যটির বিভিন্ন জেলাতেও এই দিনটি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
কাশ্মীর সফরে গিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন মোদি
১৪২ কোটি টাকার প্রস্তাব ফেরালেন নয়নতারা
মুসলিমদের কাছে এই দিনটি ত্যাগের। স্বভাবতই নামাজ পাঠের পরই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা নিজেদের সাধ্যমত পশু কোরবানি দেন।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, উত্তর প্রদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, জম্মু-কাশ্মীর, বিহারসহ দেশের প্রতিটি জায়গায় যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা।
ঈদ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ রাজনৈতিক নেতারা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘এক্স’ হ্যান্ডালে মোদি লেখেন, “ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। এই উৎসব আমাদের সমাজে সম্প্রীতি ও শান্তির ভিত্তিকে শক্তিশালী করুক। সকলের সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।”
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে গতকালই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শনিবার ‘এক্স’ হ্যান্ডালে লেখেন, “ঈদ মোবারক! ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকলকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।”
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ ল আজহ উপলক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।
আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।
আরো পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।
দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।
৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী