আকিজ ভেঞ্চারের হাত ধরে দেশে স্প্যানিশ ব্র্যান্ড সিমনের যাত্রা শুরু
Published: 30th, October 2025 GMT
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল স্পেনের অন্যতম বৈশ্বিক ব্র্যান্ড সিমন। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বের নানা দেশে সুইচ, সকেট, লাইটিং ও স্মার্ট হোম সলিউশন তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে সিমন। স্প্যানিশ ব্র্যান্ডটিকে নিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আকিজ ইলেকট্রিকস অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস লিমিটেড।
সিমন ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সিমনের প্রিমিয়াম সুইচ, সকেট ও স্মার্ট হোম সলিউশন সিরিজের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ শামীম উদ্দিন এবং সিমন গ্রুপের স্ট্র্যাটেজি ডিরেক্টর কিম, সিমন এপ্যাকের বিজনেস ডিরেক্টর ডেরেক দাইসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিমন ব্র্যান্ড ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এবার আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশেও নিয়ে এল নান্দনিক নকশা, আধুনিক প্রযুক্তি ও স্মার্ট লাইফস্টাইলের নতুন অভিজ্ঞতা।
এ উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার ও পরশু শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সোনারগাঁও হোটেলের দ্বিতীয় তলার পদ্মা হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘আকিজ ইলেকট্রিক্যালস সেফটি অ্যান্ড ইনোভেশন ফেস্ট’, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। এতে প্রদর্শিত হবে স্মার্ট হোম সিস্টেম, লাইটিং, সুইচ-সকেট, হোম অ্যাপ্লায়েন্স এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাজেট পণ্য।
অনুষ্ঠানে আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ শামীম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে সিমনের ১০৯ বছরের অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবন এখন বাংলাদেশে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি দেশের ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ, আধুনিক ও প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক্যাল সলিউশন নিশ্চিত করবে। ইউরোপীয় স্মার্ট প্রযুক্তি ও সর্বোচ্চ নিরাপদ মানের মাধ্যমে আমরা দেশের ইলেকট্রিক্যাল শিল্পে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করব। আর এসব পণ্যের দাম সবার সাধ্যের মধ্যে থাকবে। মান নিয়ে আপস করায় দুর্ঘটনা ঘটে। তাই আমরা মানসম্মত পণ্য নিয়ে এসেছি।’
আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপ জানায়, চীনের উৎপাদন কেন্দ্র থেকে সিমনের পণ্যগুলো বাংলাদেশে আসবে। এশিয়ার দেশগুলোতে চীন থেকেই পণ্য সরবরাহ করে সিমন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২৮ অক্টোবর উপলক্ষ্যে না’গঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের আলোচনা সভা ও দোয়া
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন বলেছেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামী আপোষহীন। যার প্রমাণ ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবর। সেদিন সারাদেশে জামায়াতের কর্মীরা জীবন উৎসর্গ করেছে ইসলামী আন্দোলন ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য। আমাদের শহীদের শুধু জামায়াতের কাছে নয় পুরো জাতির কাছে প্রেরণার বাতিঘর।
তিনি ২৮ অক্টোবর মঙলবার সকাল ৭ টায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে ফেডারেশনের জেলার কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠার তাণ্ডবে শাহাদাত বরণকারী শহীদ রুহুল আমিন ও শহীদ হাবিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো রিদওয়ানুল আজীম এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা মজলিসে শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মজিবুর রহমান মিয়াজী ।
নুরুল আমিন বলেন, সেই সময় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের কি পরিকল্পনা ছিল তা পরবর্তী ১৭ বছরে জাতি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছে। তারা বাংলাদেশকে ভারতের একটি তাবেদার রাজ্য পরিণত করার জন্য সেদিন এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অত্যন্ত প্রহরী জামায়াতে ইসলামী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর চূড়ান্ত আঘাত করেছিল। তারা চেয়েছিল এদেশের মাটি থেকে ইসলামী আন্দোলন ও তার নেতৃত্বকে মুছে ফেলার।
তার প্রথম পরিকল্পনা হিসাবে তারা সেই সময় ২৮ অক্টোবরকে বেছে নিয়েছে। তারা সারাদেশে লগি বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে শহীদ মুজাহিদ, মাসুম, জসিম, হাবিবুরসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আমাদের অফিসগুলো জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
একই সাথে বহু মানুষের ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে। পুরো বিশ্ব সেদিন হতবাক হয়ে গিয়েছিল। রাজনীতির নামে এ কোন ধরনের জ্বালাও পোড়াও নীতি। আসলে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতার মসনদ দখল করা। তারা ভারতের প্রেসক্রিপশনে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিলিয়ে দিয়ে দেশ ও জাতির উপর অসভ্য ও বর্বর আঘাত হেনেছে।
তিনি আরো বলেন, সেদিন জামায়াতের কর্মীরা জীবন বাজি রেখে নেতৃবৃন্দকে রক্ষা করেছে। ফলে তাদের একটি বড়ো পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়। জামায়াতের দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব থাকতে এদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য পরিণত করা যাবে না এই বিশ্বাস তাদের ছিল। পরবর্তীতে ভারতের অন্য একটি প্রেসক্রিপশনে তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের নামে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে।
নেতৃবৃন্দ জীবন দিয়েছেন কিন্তু আপোষ করেননি। তাদের সেই আত্মত্যাগের ফসল জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আজকে দেশের মানুষ জানে কাদের কাছে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ। আজকে জামায়াতের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার পেছনে ২৮ অক্টোবরের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সভাপতির বক্তব্য আবদুল মান্নান বলেন, এদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমিকদের অবদান কখনো সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। অথচ প্রতিটি আন্দোলনেই সফলতার পেছনে শ্রমিকদের অবদান অতুলনীয়।
২৮ অক্টোবরে ঢাকার পল্টনে শ্রমিক নেতা হাবিবুর রহমান ও গাজীপুরে শ্রমিক কল্যাণের তৎকালীন জেলা সভাপতি রুহুল আমিনের শাহাদাত আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমিকদের ত্যাগ তিতিক্ষার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা মনে করি আমাদের ভাইদের আত্মত্যাগ বিফলে যায়নি। তাদের রক্তের উপরে এদেশে ইসলাম বিজয়ী হবে ইনশাল্লাহ।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো হুমায়ুন কবীর, ফতুল্লা দক্ষিণ থানা সভাপতি আজিজ উদ্দিন বাবুল, ও সাইনবোর্ড ওয়ার্ডের সভাপতি মো সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।