সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে করার দাবি পুনর্ব্যক্ত জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের
Published: 7th, June 2025 GMT
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরিক জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।
১০ দলের এই জোট শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে নির্বাচন বিষয়ে তাদের এই দাবি পুনর্ব্যক্ত করে।
পবিত্র রমজান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমপর্যায়ের পরীক্ষা, আবহাওয়া ইত্যাদি বিবেচনায় এপ্রিল মাস জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান কেন সম্ভব নয়, এমন কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে উল্লেখ করা হয়নি। দেশের গণতন্ত্রকামী অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। তাই আমরা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি।’
সমমনা জোটের শীর্ষ নেতারা বিবৃতিতে বলেন, ‘সরকারকে বলব, গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন এবং নির্বাচনকে অহেতুক প্রলম্বিত না করে জন–আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহ্বায়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম খান, এনডিপির চেয়ারম্যান কারি আবু তাহের, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত হোসেন এবং পিপলস লীগের সভাপতি গরীবে নেওয়াজ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পর নির্বাচনের সময় ঘোষণা হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হতো: আখতার
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করার পর নির্বাচনের সময় ঘোষণা করা হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হতো।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্বাচনের সময় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
শুক্রবার রাতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘সরকার নির্বাচনের জন্য যে সময়সীমার কথা বলেছে, এই সময়সীমার মধ্যে সংস্কার ও বিচারকে দৃশ্যমান করে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদকে বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা যদি নিশ্চিত করতে পারে, সরকার এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের যে কথা বলেছে, তাতে আমাদের তরফ থেকে কোনো আপত্তি নেই।’
নির্বাচন শুধু যেন আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে না থাকে, সেটা উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা শুধু নয়, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে গণতন্ত্রকে আমরা প্রত্যাশা করি, তা যেন বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে শক্তিশালীভাবে বহাল হয়। বাংলাদেশের সংবিধান, রাষ্ট্রীয় কাঠামো, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসনসহ প্রত্যেক জায়গায় যেন গণতন্ত্রের ছোঁয়া আসে।’
বর্তমান সংবিধানকে ‘ফ্যাসিবাদী’ উল্লেখ করে নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্দোবস্তে গণপরিষদ ভোটের দাবি তোলেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না যে ফ্যাসিবাদী সংবিধান বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে, এই সংবিধানে বাংলাদেশ পরিচালিত হোক। আমরা একটি নতুন সংবিধান প্রত্যাশা করি। সেই প্রত্যাশার জায়গা থেকে সামনের দিনে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে এসে যাতে বাংলাদেশকে একটি নতুন সংবিধান উপহার দিতে পারেন, সে নতুন সংবিধান প্রণয়নসহ গণপরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানাসহ রংপুরের জেলা ও উপজেলার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।