পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে অনেকটাই ফাঁকা রাজধানী শহর ঢাকা। ঈদ উদ্যাপনের জন্য এই ছুটিতে নগরবাসীর একটি অংশ ঢাকা ছেড়ে গেছে। তবে এই ছুটিতেও অনেককেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। ফলে ঈদের দিনেও ব্যস্ত তাঁরা।
রাজধানীর বিজয় সরণি মোড়। শহরের অন্যতম ব্যস্ত এ মোড়ে ঈদের দিনেও হাতের ইশারায় গাড়ি চলাচলে নির্দেশনা দিচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্য মেহেদি হাসান। বেলা দুইটার দিকে তপ্ত রোদে দাঁড়িয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদ কিংবা পার্বণ হোক অথবা অন্য কোনো ছুটি হলেও আমাদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। সবার নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে আমাদের প্রতিনিয়ত কাজ করতে হয়।’
ঈদে বা উৎসবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে থাকার ইচ্ছে থাকলেও তা সম্ভব নয় উল্লেখ করে রাজধানীর তেজগাঁও জোনে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের এই সদস্য বলেন, ‘এখন তো চাইলেও দায়িত্বের জন্য অনেক কিছুই করা যায় না। কিছু করার নেই। আমাদের পেশাটাই এমন—দায়িত্ব পালন করে যেতে হয়।’
বিজয় সরণি মোড় পার হয়ে একটু সামনে আসতেই সড়কে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আমির হোসেন। জীবিকার তাগিদে বের হয়েছেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, ‘আজকে মালিক জমা (অটোরিকশার ভাড়া) ছাড়াই গাড়ি দিয়েছে। আর ঈদে যদি একটু বেশি ভাড়া পাওয়া যায়, তাহলে তো ভালোই হবে। সে জন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি।’
ঈদের ছুটিতেও নিরলসভাবে রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক অনিরুদ্ধ মজুমদারকে। হাসপাতালেই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কাছে সেবাটাই বড় বিষয়। এখানে উৎসব বা উদ্যাপনের বাইরের সময় বিচার করার সুযোগ নেই। আমাদের এটাকে দেখতে হয় দায়িত্ব হিসেবে।’
ছুটি মেলে না সব সংবাদকর্মীরও। সময়ের খবর নির্ভুলভাবে সবার কাছে তুলে ধরার দায়িত্বে থাকেন তাঁরা। তেমনই একজন শফিকুল আলম। দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকায় নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন এই তরুণ সাংবাদিক।
শফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবার ঈদ একরকম নয়। সাংবাদিকতার মতো পেশায় যাঁরা, তাঁদের অনেকের ঈদের দিনটিও কাটে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। সংবাদ সংগ্রহ, রিপোর্টিং, লাইভ আপডেট—সবকিছুই চলতে থাকে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ক ঈদ র দ ন আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।