‘টগর’ জমজমাট বাণিজ্যিক সিনেমা, কিন্তু একটা জিনিস মিসিং আছে
Published: 12th, June 2025 GMT
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘টগর’ দেখে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। সিনেমা দেখে তার ভালোলাগা, প্রত্যাশা, অপ্রাপ্তি এবং আপত্তির কথাও জানিয়েছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান মানিক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আমরা অনেকে মিলে টগর দেখলাম আজ। টগর সম্ভাবনাময় পরিচালক অলক হাসানের এর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি। আমি বুঝি, যে কোনো পরিচালকের প্রথম ছবি, প্রথম সন্তানের মতো। আমি বুঝি, এই সময় টা কতটা উত্তেজনা, কতটা ভীতি, এবং কতটা আনন্দ কাজ করে পরিচালকের মানস পটে। এর সব কিছুই আমি আলোক হাসান এর চোখেমুখে দেখেছি। আমি তাকে আশ্বস্ত করতে চাই, প্রথম ছবিতে সে ভালো ভাবে উতরিয়ে গিয়েছে। খুব সুন্দর একটি জমজমাট বাণিজ্যিক ছবি উপহার দেওয়ার প্রচেষ্টা ছিলো তার ভেতর। এই প্রচেষ্টা তাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।’’
টগর সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র আদর আজাদ সম্পর্কে মানিক বলেন, ‘‘সিনেমা পাগল মানুষ। সিনেমা নিয়ে পাগলামি টা সে ধরে রেখেছে।সম্পূর্ণভাবে টগর হয়ে উঠার সবরকম চেষ্টা ছিলো তার ভেতর। আমি বলবো এই চেষ্টায় সে অনেকটাই সফল।’’
আরো পড়ুন:
বাবা হতে যাওয়ার খবর জানালেন আরবাজ
রাজকে নিয়ে যা জানালেন শুভশ্রী
পূজা চেরীকে এই পরিচালক বলেছেন সুঅভিনেত্রী। সিনেমায় পূজার চরিত্রটি খুব উপভোগ করেছেন তিনি।
মানিক রোজী সিদ্দিকীর চরিত্রকে বললেন, গর্জিয়াস। মানিকের ভাষায়, ‘‘চরিত্রটা খুবি আনপ্রেডিক্টেবল ছিলো। তিনি অত্যন্ত গর্জিয়াস এবং প্রাণবন্তভাবে চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছেন। এছাড়া অন্যরাও চরিত্রানুযায়ী ভালো করেছেন।’’
সিনেমার কালার কারেকশন, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ,কোরিওগ্রাফি, অ্যাকশ্যান ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এই পরিচালক। তবে তার মতে, সিনেমাটোগ্রাফি, এডিটিং আরো ভালো হতে পারতো। সিনেমাতে অতিরিক্ত গালিগালাজ এর বিষয়ে আপত্তিও তুলেছেন তিনি।
আর একটি জিনিস খুব মিস করেছন মানিক। তার ভাষ্য, ‘‘খুব চাচ্ছিলাম আদর- পূজার একটি রোমান্টিক গান হোক। এটা মিসিং ছিলো। যাই হোক আমি টগর টিমকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাচ্ছি।’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন চর ত র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
‘চরকা বানডি’ থেকে ‘রামদা নৃত্য’—ফুলবাড়িয়ায় জমজমাট লাঠিখেলা
লাঠির ঘূর্ণি, রামদার ঝলক, বাদ্যের তালে তালে লাঠিয়ালের শরীরী কসরত—একসময় গ্রামীণ জনপদের প্রাণ ছিল এই লাঠিখেলা। আধুনিকতার জোয়ারে সেই খেলাই আজ বিলুপ্তির পথে। তবে হারিয়ে যেতে বসা ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার প্রাণান্ত প্রয়াস দেখা গেল ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার রঘুনাথপুর গ্রামে। ‘অনির্বাণ ছাত্র সংঘ’ নামের একটি সংগঠনের এক যুগ পূর্তিতে আয়োজিত জমজমাট লাঠিখেলায় ফিরে এল সেই পুরোনো দিনের উত্তেজনা, গ্রামবাংলার রঙিন ছায়া আর ঐতিহ্যের শিকড়ের টান।
লাঠিখেলায় শারীরিক কসরত দেখাচ্ছেন দুই লাঠিয়াল