ভারতের ক্রিকেটে নতুন বিস্ময়, সূর্যবংশীর বন্ধু ২২ ছক্কা ও ৪১ চারে করলেন ৩২৭
Published: 16th, June 2025 GMT
বৈভব সূর্যবংশীকে নতুন করে পরিচয় করে দেওয়ার কিছু নেই। প্রতিভা দিয়ে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই বিশ্ব ক্রিকেটে আলোচনায় উঠে এসেছে এই বাঁহাতি।
এবার আলোচনায় তার ১৩ বছর বয়সী বন্ধু অয়ন রাজ। বিহারের এই কিশোর ৩০ ওভারের ম্যাচে করেছে ৩২৭ রান!
ঘটনাটি মুজাফফরপুরের জেলা ক্রিকেট লিগে। সেখানে সংস্কৃতি ক্রিকেট একাডেমির হয়ে খেলে অয়ন। ৩০ ওভারের ম্যাচে ১৩৪ বলে অপরাজিত ৩২৭ রান করেছে সে। ইনিংসে ছিল ৪১টি চার ও ২২টি ছক্কা। শুধু বাউন্ডারি থেকেই এসেছে ২৯৬ রান। স্ট্রাইক রেট ২০০-এরও বেশি।
এমন এক ট্রিপল সেঞ্চুরির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় উঠে এসেছে অয়ন। ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮–এ অয়ন সূর্যবংশীর প্রসঙ্গেও কথা বলেছে, ‘প্রতিবার বৈভব ভাইয়ের সঙ্গে কথা বললে একধরনের শক্তি পাই। ছোটবেলায় আমরা একসঙ্গে খেলেছি। এখন সে অনেক বড় জায়গায় গেছে। আমি ওর পথেই হাঁটছি।’
অয়ন রাজ ও বৈভব সূর্যবংশী যখন একসঙ্গে খেলত.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা