অফিসের কাজ হোক বা পড়াশোনা, ফেসবুকে ক্যাপশন ঠিক করা থেকে শুরু করে আজকাল আমাদের মন খারাপের সঙ্গী হয়ে উঠেছে চ্যাটজিপিটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই বন্ধু এখন কেবল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া নয়, গবেষণা, লেখালেখি ও প্রতিদিনের সিদ্ধান্ত গ্রহণেও সাহায্য করছে। তবে এ ধরনের প্রযুক্তির সুবিধার পাশাপাশি কিছু ঝুঁকিও আছে; বিশেষ করে যদি এসব ব্যবহার করা হয় অসচেতনভাবে। প্রযুক্তির এই যুগে তথ্যই বড় সম্পদ, তাই কোথায়, কখন, কার সঙ্গে কী তথ্য ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন, তা খেয়াল রাখা অতি জরুরি। জেনে নিন কোন পাঁচটি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কখনোই চ্যাটজিপিটি বা অন্য কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়।

১.

ব্যক্তিগত শনাক্তকরণ তথ্য (পার্সোনালি আইডেন্টিফাইঅ্যাবল ইনফরম্যাশন বা পিআইআই)

ব্যক্তিগত শনাক্তকরণ তথ্য বলতে বোঝায় এমন যেকোনো তথ্য, যা কারও পরিচয় স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করে বা বর্ণনা করে। যেমন ব্যবহারকারীর পূর্ণ নাম, জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও ই–মেইল। চ্যাটজিপিটি ইচ্ছাকৃতভাবে এসব তথ্য সংরক্ষণ করে না বটে, তবে সাইবার আক্রমণ বা তথ্য ফাঁসের মতো ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যায়। হ্যাকাররা এসব তথ্য ব্যবহার করে পরিচয় চুরি, ব্যাংক জালিয়াতির মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই নিজের পরিচয় ও আর্থিক নিরাপত্তা রক্ষা করতে এসব তথ্য এআইকে না দেওয়াই শ্রেয়।

আরও পড়ুনইংরেজি শিখতে চ্যাটজিপিটি কাজে লাগাবেন কীভাবে১৫ জুন ২০২৫

২. আর্থিক ও ব্যাংকিং তথ্য

ক্রেডিট কার্ড নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খুঁটিনাটি, মোবাইল ব্যাংকিং পিন বা পেমেন্ট গেটওয়ে সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য চ্যাটজিপিটির মতো প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করাটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এ ধরনের তথ্য যদি কোনোভাবে ফাঁস হয়, তাহলে অসাধু লোকেরা এসব তথ্য ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংক জালিয়াতি করে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খালি করে দিতে পারে মুহূর্তেই। আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার মতো ভয়াবহ ফল ডেকে আনতে পারে।

ক্রেডিট কার্ড নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খুঁটিনাটি, মোবাইল ব্যাংকিং পিন চ্যাটজিপিটির মতো প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করাটা বিপজ্জনক

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাইডাস সেন্টারের শীত মেলায় কী কী পাওয়া যাচ্ছে

ছবি: আয়োজকদের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ