ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পন চান ট্রাম্প
Published: 17th, June 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পন চান। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার জি-৭ সম্মেলন থেকে ওয়াশিংটনে ফিরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক পোস্ট দেওয়া শুরু করেন ট্রাম্প।
সর্বশেষ পোস্টে তিনি বলেছেন, “ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।”
এর আগে আরেকটি পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায় আছেন তা জানে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাকে হত্যা করা হবে না।
তিনি বলেছেন, “আমরা ঠিক জানি তথাকথিত সর্বোচ্চ নেতা কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি একটি সহজ লক্ষ্য, কিন্তু সেখানে নিরাপদ - আমরা তাকে বের করে (হত্যা!) করব না, অন্তত আপাতত নয়। কিন্তু আমরা বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সেনাদের উপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে চাই না। আমাদের ধৈর্য শেষ হয়ে যাচ্ছে।”
এর কয়েক মিনিট আগে আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছিলেন, “ইরানের আকাশসীমার উপর এখন আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।
পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।
ঢাকা/আজিজ/রফিক