Samakal:
2025-06-18@01:23:50 GMT

শুভেচ্ছার মোড়কে ছাপা রাজনীতি

Published: 17th, June 2025 GMT

শুভেচ্ছার মোড়কে ছাপা রাজনীতি

ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে, বেশি দিন হয়নি। নির্বাচন সামনে রেখে এই ঈদে যেমন দেখা গেল শুভেচ্ছার রাজনীতি, তেমনটি এর আগেও আমরা দেখেছি। এলাকায় একই ব্যক্তির ব্যানার-ফেস্টুন-বিলবোর্ডজুড়ে মুখচ্ছবি আর নাম-পরিচয়! একদিকে ঈদের অনাবিল আনন্দ, অন্যদিকে রাস্তায় হঠাৎ দেখা যায়, ‘অমুক সাহেবের পক্ষ থেকে ঈদ মোবারক’ কিংবা ‘জনপ্রতিনিধি পদপ্রার্থী তমুক ভাইয়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা’। অবশ্য শুধু ঈদে নয়, এর বাইরেও এ ধরনের শুভেচ্ছা দেখা যায়। তবে ঈদ মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসব, সেহেতু এ সময়ে প্রবণতা বেশি থাকে।

এত বড়মাপের আয়োজন, ছাপানো, টাঙানো সবই ব্যয়সাধ্য। সাধারণ একজন রাজনৈতিক কর্মী কীভাবে এত খরচ করেন? নাকি এটি ভবিষ্যতের বিনিয়োগ? রাজনৈতিক পুঁজি সঞ্চয়ের একটি চতুর পদ্ধতি? যারা ভোট চান, তারা জানেন ঈদ হলো মানুষের অনুভূতির সময়। এ সময়কে কাজে লাগিয়ে মানুষের মাঝে নিজের উপস্থিতি জানান দেওয়া যায় নীরবে, আত্মীয়ের মতো করে। তাই ‘ঈদ মোবারক’ লেখার চেয়েও বড় করে লেখা থাকে প্রার্থীর নাম, তার ছবি, দলের প্রতীক কিংবা নেতার ছবির পাশে নিজের ঠাঁই। এক অর্থে, এটি নিজের চেহারা ও অবস্থানকে জনগণের মনে গেঁথে দেওয়ার কৌশল; ঈদের মোড়কে!
এত ব্যানার-ফেস্টুনের মাঝে ঈদের মূল বার্তাটি কোথায়? রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ছেঁড়া ব্যানার, বাতাসে উড়তে থাকা ছিন্ন ফেস্টুন কি ঈদের শোভা বাড়ায়, নাকি নগরজীবনে দৃষ্টিকটু মাত্রা যোগ করে? প্রশাসন অনেক সময় এগুলো অপসারণে উদ্যোগী হলেও প্রভাবশালী মহলের নাম লেখা থাকলে সে ব্যানার ছোঁয়া যেন সাহসের ব্যাপার। ফলে শহরের সৌন্দর্য বা সজ্জা হয়ে দাঁড়ায় রাজনীতির বিজ্ঞাপনস্থল।
এই প্রবণতা শুধু শহরে নয়, গ্রাম-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কিংবা সম্ভাব্য চেয়ারম্যানও ঈদের আগে ছবি পাঠিয়ে দেন ছাপাখানায়। বাজারের মোড়ে তাদের ফেস্টুন ঝুলে যায়। সঙ্গে যুক্ত থাকে দলের প্রতীক, স্থানীয় নেতার নাম এবং অবশ্যই ঈদের শুভেচ্ছা। মানুষের অনুভূতিকে ব্যবহার করে নিজেকে পরিচিত ও প্রভাবশালী করে তোলার এক নীরব প্রচারকৌশল এটি। তবে সবাই কি এসব ব্যানার-ফেস্টুনে বিরক্ত হন? অনেক সাধারণ মানুষও এটিকে স্বাভাবিকভাবে নেন। তারা বলেন, ‘যাক, অন্তত মনে তো করেছে!’ এই মানসিকতা রাজনৈতিক কর্মীদের উৎসাহিত করে। কিন্তু আশঙ্কা থেকে যায়, এই ছদ্ম-শুভেচ্ছার মাঝে যদি সত্যিকারের দায়বদ্ধতা না থাকে, তবে জনগণ কবে বুঝবে, তারা প্রতারিত হচ্ছে?

এটা ঠিক, যে কেউ ঈদে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায়ে কার্ড পাঠানো হৃদয় ছোঁয়া বার্তার অভাব নেই। কিন্তু যান্ত্রিকভাবে, দখলদারির মতো করে শহর কিংবা গ্রামজুড়ে মুখের ছবি ঝুলিয়ে দেওয়া কতটা শোভন? এসব ব্যানার-ফেস্টুনের মাধ্যমে কে কোথায় কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারছেন, তার একটি ম্যাপ তৈরি হয়। কার ব্যানার সবচেয়ে বড়, কার ছবি কেন্দ্রীয় স্থানে, এসব বিশ্লেষণ করেই স্থানীয় রাজনীতিতে কে কতটা শক্তিশালী, তা বোঝা যায়। ফলে ঈদ এক সময় হয়ে পড়ে রাজনৈতিক পরিমাপের বারোমাসি দিনপঞ্জির একটি কৌশলগত দিন। এখন সময় এসেছে এই প্রবণতা নিয়ে ভাববার। 

ঈদ আমাদের আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও ভালোবাসার উৎসব। এটি হোক মানুষের হৃদয়ে পৌঁছানোর এক আন্তরিক উপলক্ষ। নিছক ব্যানার-ফেস্টুনে আটকে না থাকুক এই পবিত্র বার্তা। শুভেচ্ছা জানানো হোক নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দিয়ে; চোখে পড়ার জন্য নয়; হৃদয়ে গেঁথে যাওয়ার জন্য। সত্যিকারের নেতৃত্ব তো জন্ম নেয় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে; কৃত্রিম ব্যানারে নয়। রাজনীতি যদি মানুষের সেবার মাধ্যম হয়, তবে ঈদের সময় সেই সেবা প্রতিফলিত হোক কাজে; শুধু মুখে কিংবা ব্যানারে নয়। তাহলেই ঈদ, রাজনীতি দুটোই পাবে প্রকৃত সম্মান।

জুয়েল হাসান: প্রকৌশলী

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে হামলা কি মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেবে

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঠেকাতে সামরিক শক্তি ব্যবহারের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কঠোর হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে এক অশান্ত এবং উদ্বেগজনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একজন বিশ্লেষক বা কৌশলবিদ বলা যায় না। তিনি সিদ্ধান্ত নেন দ্রুত, অনেক সময় নিজেরই নেওয়া সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও করেন। তিনি সোজা পথে হাঁটেন না। তবু তাঁর ২০২৫ সালের ১৪ মে রিয়াদ ভাষণ থেকে আমরা বুঝতে পারি, তিনি মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কী লক্ষ্য স্থির করছেন এবং কী ধরনের কৌশলকে তিনি সমর্থন করেন বা বর্জন করেন।

এই ভাষণটি ২০১৭ সালের একই স্থানে দেওয়া তাঁর আগের ভাষণের ধারাবাহিকতা। সেই ভাষণে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতি হবে ‘নৈতিক বাস্তববাদ’।

ওবামা, বাইডেন ও ট্রাম্প—তিনজনই যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের অসন্তোষের কথা ভেবে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক হস্তক্ষেপ কম করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বুশ প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্যে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য যুদ্ধ, বিশেষ করে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের প্রতি মার্কিন জনগণের বিরক্তি এই নীতিকে উৎসাহিত করেছে। ওবামা ও বাইডেন মানবাধিকারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তবে তাঁদের প্রচেষ্টা বিশেষ সফল হয়নি।

ট্রাম্প শুরু থেকেই সরাসরি বলেছেন যে উদারনৈতিক বা লিবারেল আদর্শ দিয়ে কাজ হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ঠিক করতে হবে বাস্তবতার ভিত্তিতে। আমরা ট্রাম্পের সেই কথারই স্পষ্ট প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি তাঁর ইরান ও সিরিয়া নীতিতে।

২০১৭ সালের রিয়াদ ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, হঠাৎ করে সামরিক হস্তক্ষেপ বা শাসন পরিবর্তনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হবে না। তিনি সাবধান করেছিলেন যে এ রকম পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে বিপর্যয় এবং চরমপন্থার উত্থান ডেকে আনতে পারে। ২০২৫ সালে একই বক্তব্যকে আরও জোর দিয়েছেন। বলেছেন যে শুধু সামরিক নয়, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকেও যুক্তরাষ্ট্র দূরে থাকবে। তিনি বলেন, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানো বা কাকে নেতৃত্বে রাখা উচিত, তা নির্ধারণ করার দিন শেষ।

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতির ভিত্তি মূলত ব্যবসা, বাণিজ্য এবং চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা। তিনি চাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিজেরাই নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় নেতৃত্ব নিক। আর যুক্তরাষ্ট্র তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করবে, অর্থনৈতিক চুক্তি করবে। কিন্তু সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে খরচ করতে যুক্তরাষ্ট্র আর রাজি নয়। তিনি চান ইসরায়েলকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কাঠামোয় নিয়ে আসা হোক। আব্রাহাম চুক্তির সম্প্রসারণ তাঁর এই কৌশলের অংশ।

এর ব্যতিক্রম ঘটেছিল ওবামা প্রশাসনে। ২০০৯ সালে কায়রোতে ওবামা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের সরকার কেমন হওয়া উচিত, তা সেই দেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দেবে না। কিন্তু পরে তিনি মোবারক, গাদ্দাফি ও আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প এ ধরনের নীতির দ্বিচারিতা পরিহার করতে চেয়েছেন। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি বা গণতন্ত্র রপ্তানি করার চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের সময় ও সম্পদ নষ্ট হয়েছে। আফগানিস্তান ও ইরাক তার জ্বলন্ত উদাহরণ।

আরও পড়ুনইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পরিণতি কী১৩ ঘণ্টা আগে

ট্রাম্পের ভাষণে বারবার এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হবে বাস্তবতার ভিত্তিতে। ২০২৫ সালে তিনি সরাসরি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য বড় বড় প্রকল্পের পেছনে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে কোনো লাভ হয়নি। তাই তিনি এই প্রকল্পগুলো বন্ধ করেছেন বা কাটছাঁট করেছেন। বহু এনজিও এবং সরকারি দপ্তরের কর্মী তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন।

তাঁর মতে, সংস্কার হবে ধীরে ধীরে। বিপ্লবের মতো আকস্মিকভাবে নয়। এ কারণেই তিনি ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন। তাদের ধাপে ধাপে সংস্কার, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার পথে এগোনোকে তিনি প্রশংসা করেছেন।

সিরিয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নীতিও একই ধরনের। তিনি ২০১৭ সালে সিআইএর ব্যর্থ অস্ত্র প্রকল্প বন্ধ করেন। তিনি স্বীকার করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিদ্রোহীরা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। নিজেদের স্বার্থের চেয়ে অর্থ উপার্জনে বেশি মনোযোগী ছিল তারা। অন্যদিকে আল-নুসরা ফ্রন্ট ছিল বেশি একনিষ্ঠ।

আরও পড়ুনইরানে ইসরায়েলের হামলার আসল যে কারণ১৬ জুন ২০২৫

২০২৫ সালে ট্রাম্প সেই আল-নুসরা প্রধানের সঙ্গে হাত মেলান, যাকে একসময় সন্ত্রাসী বলা হতো। তিনি বলেন যে সিরিয়ার মতো দেশের জটিলতা সেই দেশের মানুষই ভালো বুঝবে। তাই সিরিয়ার রাজনৈতিক রূপান্তরের সিদ্ধান্তটি তাদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া ভালো। আর যদি প্রয়োজন হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র দূর থেকে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। সিরিয়ায় এখন মার্কিন প্রশাসনের মূল লক্ষ্য নিরাপত্তা, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও বিদেশি যোদ্ধাদের বিতাড়ন এবং ইসলামিক স্টেট বন্দীদের বন্দিশিবিরের ভবিষ্যৎ ঠিক করা।

ট্রাম্প প্রশাসন সিরিয়ার ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। এর পেছনে যুক্তি হলো নতুন গৃহযুদ্ধ এড়িয়ে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। তুরস্কের সঙ্গে কাজ করে সিরিয়ার নতুন সেনাবাহিনী গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তুরস্কে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্যবসায়ী টমাস বারাককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগ থেকে বোঝা যায় যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও ব্যবসার প্রসারই ট্রাম্পের লক্ষ্য।

আরও পড়ুনইরানে ইসরায়েলের হামলা: ট্রাম্প কি পাগল হয়ে গেছেন১৩ জুন ২০২৫

ইরানের ক্ষেত্রেও ট্রাম্প একই বাস্তববাদী নীতি অনুসরণ করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর কোনো স্থায়ী শত্রু নেই। ইরানে শাসন পরিবর্তন চান না তিনি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানই তাঁর পছন্দ। তবে তিনি কঠোরভাবে এ–ও বলেছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত হতে পারবে না। এর জন্য প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রয়োগ করতে দ্বিধা করবে না। তবে তাঁর পছন্দ সামরিক নয়, কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক চাপ। তিনি ইরানের তেলের রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে কথা বলেছেন।

গত মে মাসে ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন, আলোচনার সময় ইরানে হামলা করা ঠিক হবে না। কিন্তু নেতানিয়াহু সেই কথা শোনেননি। ১২ জুন ইসরায়েল হামলা চালালে ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসন স্পষ্ট করে বলেন, এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই। ট্রাম্পের যুক্তি হলো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেরা নেবে। এভাবেই যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে চলবে।

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতির ভিত্তি মূলত ব্যবসা, বাণিজ্য এবং চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা। তিনি চাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিজেরাই নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় নেতৃত্ব নিক। আর যুক্তরাষ্ট্র তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করবে, অর্থনৈতিক চুক্তি করবে। কিন্তু সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে খরচ করতে যুক্তরাষ্ট্র আর রাজি নয়। তিনি চান ইসরায়েলকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কাঠামোয় নিয়ে আসা হোক। আব্রাহাম চুক্তির সম্প্রসারণ তাঁর এই কৌশলের অংশ।

তবে ফিলিস্তিনি জনগণের স্থান এই পরিকল্পনায় কোথায়, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে ভূমধ্যসাগরীয় দেশ ও তুরস্কের নেতাদের কথা শুনবেন। তবে নিজের সরকারি বিশ্লেষকদের মতামত নিতেও খুব একটা আগ্রহী নন তিনি।

রবার্ট ফোর্ড সিরিয়া ও আলজেরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ম্যাগাজিন আল মাজাল্লা থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তেহরান ছাড়ছেন বাসিন্দারা, বাঙ্কারে ইসরায়েলিরা
  • স্থানীয় স্বশাসন জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য অপরিহার্য
  • নাগরিকেরা কেন সেবাবঞ্চিত থাকবেন
  • ইরানে হামলা কি মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেবে
  • নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন মুফতি আমির হামজা
  • বিসিএস ক্যাডার এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে তুলনা কেন?
  • বিসিএস ক্যাডার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে তুলনা কেন?
  • লন্ডন বৈঠকে কারও দায়মুক্তির প্রসঙ্গ ছিল না: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ইরানের শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান সাবেক শাহের পুত্রের