রাজশাহীর পদ্মা নদীর বাঁধ থেকে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৮টি দোকান উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন।

উচ্ছেদ হওয়া দোকানগুলোর মালিকরা জানান, আশপাশে আরো দোকান এবং বাড়ি থাকলেও শুধু তাদের দোকানই উচ্ছেদ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, দলখদারদের কারণে নদীর তীরে যাতাযাতে সমস্যা হতো। জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের হলেও বেদখল হয়ে গিয়েছিল।

বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে রাজশাহীর হাইটেক পার্ক সংলগ্ন আই বাঁধে চালানো অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিনিয়র সহকারী কমিশনার রকিবুল হাসান। এসময় পুলিশ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

নিরাপত্তার কারণে রাবি উপাচার্যের পাকিস্তান সফর বাতিল

রাবির ‘এ’ ইউনিটের বিষয়ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ

অভিযান শেষে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসান বলেন, ‍“পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত টি-বাঁধ ও আই-বাঁধে অবৈধ দখলদারদের তালিকা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যদি কেউ বাদ পড়ে, তাহলে পরবর্তীতে তাদেরও উচ্ছেদ করা হবে।”

অভিযানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজশাহীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু হুরায়রা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশালের কোচ হচ্ছেন আশরাফুল

ক্রিকেটে দীর্ঘ দুই দশকের ক্যারিয়ার শেষে কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কোচিং করিয়েছেন আশরাফুল। কিছুদিন আগে গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সের কোচ হয়েছিলেন। এরই মধ্যে আইসিসির লেভেল-৩ কোচ শিক্ষা কোর্স শেষে সার্টিফিকেট পেয়েছেন।

এবার বড় ধৈর্ঘ্যর ক্রিকেটেও তাকে দেখা যাবে। অক্টোবরে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বরিশাল বিভাগের কোচিংয়ের দায়িত্ব পেতে আগ্রহ দেখিয়েছেন আশরাফুল। বিসিবিরও ইচ্ছা আশরাফুল দলটির দায়িত্ব নিক। বিসিবির পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, ‘‘বরিশাল দলকে নিয়ে আমরা খুব সিরিয়াসলি চিন্তা করছি। সে (আশরাফুল) আগ্রহ দেখিয়েছে। সেই বলেছে কোচ হতে চায়। যেহেতু দুই বছর খেলেছে বরিশালে। আমরা তাকে সেখানে কোচ হিসেবে রাখার পরিকল্পনা করেছি।’’

তবে বরিশাল বিভাগের দল নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি আকরাম খানরা। গত বছর লিগ চলাকালীন নিয়মিত অধিনায়ক ফজলে মাহমুদ দল ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে অধিনায়কত্ব না করার শর্তে খেলেন। পক্ষপাতমূলক অধিনায়কত্ব করার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।

আরো পড়ুন:

কোচিংয়ে আগ্রহ বাড়ছে ক্রিকেটারদের

ভারত সফরে ধোনি-কোহলিদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবেন মেসি

সোহাগ গাজী যুক্ত হলেও পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। কোচ আশিকুর রহমানও দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান। ড্রেসংরুমের অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। যা বিসিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন কোচ, অধিনায়ক, ম্যানেজার। এ বছরের দল গঠন নিয়েই চরম বিপাকে।

ফজলে রাব্বী ও সোহাগ গাজীর আলাদা গ্রুপ তৈরি হওয়াতে বিসিবি পড়েছে জটিলতায়। তবে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন আকরাম খান,

‘‘বরিশালকে নিয়েও আমরা আলাপ–আলোচনা করেছি। চিন্তাভাবনা করছি— যেহেতু অনেক...এরা ম্যানেজার নিয়ে খুশি না, কোচ নিয়ে খুশি না, অধিনায়ক নিয়ে খুশি না। খেলোয়াড়–খেলোয়াড় দ্বন্দ্ব আছে। এটা তো হওয়া আসলে উচিত না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটা সিরিয়াসলি মনিটর করব— যদি দেখি কেউ ডিপ্রাইভ হচ্ছে।, খেলা নষ্ট হচ্ছে, বা মান সম্মান খারাপ হচ্ছে। তাহলে আমরা অ্যাকশন নেবো।’’

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ