নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ
Published: 18th, June 2025 GMT
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর এক বছর আগেই সূচি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আগামী বছরের ১২ জুন থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যা চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত। এই আসরটি হবে একেবারেই ব্যতিক্রমী ও ঐতিহাসিক। কারণ, প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে ১২টি দল। আর খেলা হবে ৭টি ভেন্যুতে। মোট ম্যাচ হবে ৩৩টি।
সূচিতে চোখ বুলালেই বোঝা যায়, এই আসরে রয়েছে অনেক চমক ও উত্তেজনার উপাদান। বিশেষ করে ১৪ জুন। এই দিনটি আলাদা করে নজর কাড়ছে। কারণ, এদিন মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এই ম্যাচের টিকিট ইতোমধ্যে হট কেকের মতো বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।
বিশ্বকাপের জন্য দলগুলোকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে—
গ্রুপ-১: ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও দুটি বাছাইপর্ব জয়ী দল।
গ্রুপ-২: ইংল্যান্ড (স্বাগতিক), নিউ জিল্যান্ড (ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন), ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও দুটি বাছাইপর্ব জয়ী দল।
আরো পড়ুন:
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স অনুর্ধ্ব-১৯ মেয়েরা
এইবারের আসরে আগে থেকেই জায়গা করে নিয়েছে ৮টি দল— ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাকি ৪টি জায়গা পূরণ হবে বাছাইপর্ব থেকে। যেখানে অংশ নেবে ১০টি দেশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ, স্কটল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল ও থাইল্যান্ড নিশ্চিত করেছে বাছাইপর্বে খেলা। ইউরোপ, আফ্রিকা ও পূর্ব এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকেও দল আসবে এই লড়াইয়ে।
ভেন্যু ও হাইভোল্টেজ ম্যাচগুলো:
ম্যাচগুলো হবে ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক ও জনপ্রিয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোত— ওল্ড ট্রাফোর্ড, হেডিংলি, সাউদাম্পটন, ব্রিস্টল ও এজবাস্টন। লর্ডস ও দ্য ওভাল বাদ থাকলেও উত্তেজনার কমতি নেই।
উদ্বোধনী ম্যাচ: ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা (১২ জুন)।
১৩ জুন: নিউ জিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৪ জুন: ভারত বনাম পাকিস্তান।
নকআউট রাউন্ড:
সেমিফাইনাল: ৩০ জুন ও ২ জুলাই।
ফাইনাল: ৫ জুলাই।
প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল সরাসরি জায়গা পাবে সেমিফাইনালে। এরপর সেমিফাইনালের বিজয়ীরা মুখোমুখি হবে ফাইনালে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ট ট য় ন ট ব শ বক প ব ছ ইপর ব ব শ বক প ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র-জনতার ব্যানারে আন্দোলন চলবে, সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারা দেশের স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের আন্দোলন এক মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। তবে ছাত্র-জনতার ব্যানারে আরেক পক্ষ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার, সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতি-অনিয়ম, হয়রানি বন্ধসহ তিন দফা দাবিতে বরিশালে ছাত্র-জনতার ব্যানারে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা গত শুক্রবার থেকে এই দাবিতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দালন অব্যাহত রেখেছেন। এই ছয় দিনে তাঁরা সাড়ে ২৯ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন লাখো যাত্রী।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর বরিশালে আসেন। তিনি দুপুর ১২টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সম্মেলনকক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, চিকিৎসক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও হাপতাাল এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আলোচনা সভায় যোগ দেন। বেলা সোয়া তিনটা পর্যন্ত এই সভা চলে। আলোচনায় মহাপরিচালক শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং মেডিকেল কলেজের পরিচালক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলে জানান। অন্য দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।
গতকাল রাতে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সমাবেশে বিএম কলেজের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলার সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করা হবে এবং মেডিকেলের সকল সিন্ডিকেট ও দালালদের নির্মূল করা হবে। যদি তা না হয়, আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
এদিকে ব্লকেড কর্মসূচি অব্যাহত রেখে ও গণ–অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন একটি পক্ষ। ছাত্র-জনতার ব্যানারে ওই আন্দোলনের সংগঠক হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তিনি বলেন, ‘দাবিদাওয়া নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে আমাদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরিশালে এসেছেন। কিন্তু আমাদের যে দাবি, যে সমস্যা, তা সমাধানের জন্য যথেষ্ট সক্ষমতা (ক্যাপাসিটি) তাঁর নেই। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বরিশালে আসতে হবে।’ এ সময় তিনি চলমান বরিশাল ব্লকেড কর্মসূচির পাশাপাশি নতুন করে গণ–অনশনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনষষ্ঠ দিনের মতো ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ, ভুক্তভোগী যাত্রী-চালকদের ক্ষোভ১৬ ঘণ্টা আগেআন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজসহ দেশের সব সরকারি হাসপাতালে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা; স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ দেশের সব হাসপাতালে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, দলীয় লেজুড়বৃত্তিক চিকিৎসকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ডিজিটাল অটোমেশন ও স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক টাস্কফোর্স গঠন; স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনকে জনগণের ভোগান্তির বিষয় শুনে তদন্ত সাপেক্ষে আবার সুপারিশ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া।
আরও পড়ুনজনদুর্ভোগে বাড়ছে ক্ষোভ, মহাপরিচালকের আশ্বাসেও দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা১২ ঘণ্টা আগে