ঢাকার আদালত থেকে হত্যা মামলার আসামির পলায়ন
Published: 19th, June 2025 GMT
ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে পুলিশকে মারধর করে পালিয়েছেন হত্যা মামলার এক আসামি। তার নাম মো. শরিফুল ইসলাম (২২)। তিনি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার হরিপুর গ্রামের মৃত শফিক আহম্মেদের ছেলে।
জানা যায়, শরিফুল রাজধানীর খিলগাঁও থানার জিসান হোসেন (১৪) হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল মো.
তিনি বলেন, আসামিকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় পুলিশকে আঘাত করে পালিয়ে যায় আসামি।
ডিএমপির প্রসিকিশন বিভাগের এডিসি মাইন উদ্দিন বলেন, আসামির হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। তিনি ধাতব কিছু দিয়ে হাতকড়া ঢিলা করে কৌশলে খুলে ফেলে। পরে পুলিশ কনস্টেবলের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোতোয়ালি থানাকে জানানো হয়েছে আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলমান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রায় প্রতিদিন ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়: নেতানিয়াহু
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলের অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এটাকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলে অভিহিত করেছেন। ইসরায়েলের দক্ষিণে ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, ‘প্রায় প্রতিদিন’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। খবর-বিবিসি
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি মনে করি তার দৃঢ় সংকল্প, দৃঢ়চিত্ত ও স্পষ্টতা- যখন তিনি বলেন যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না এবং ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না। তিনি তাদের আলোচনার মাধ্যমে এটি (ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করা) করার সুযোগ দিয়েছিলেন। তারা তার সঙ্গে ছলনা করলো, আপনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এটা করতে পারেন না।’
সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়। কিন্তু তারা ইতোমধ্যেই অনেক সাহায্য করছে।’
সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েল ইরানের দিক থেকে পারমাণবিক হুমকি ‘অপসারণ’ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ‘এই অভিযানের শেষে ইসরায়েলের জন্য কোনো পারমাণবিক হুমকি থাকবে না, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকিও থাকবে না। সোরোকা হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল ইতোমধ্যেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘খুব জোরালোভাবে’ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু ছিলেন কিনা জানতে চাইলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কেউই নিরাপদ নয়’।