নির্বাচনী প্রচারণায় থাকছে না পোস্টার, আচরণবিধির খসড়া অনুমোদন ইসির
Published: 19th, June 2025 GMT
নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টারের ব্যবহার থাকছে না। পাশাপাশি দলীয় অঙ্গীকারনামা, এক প্লাটফর্মে সব প্রার্থীর ইশতেহার ঘোষণা, সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়াকড়ি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের জরিমানা তিনগুণ বাড়িয়ে দেড়লাখ টাকার বিধান করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা ও করণীয় নানা বিষয়েও পরিবর্তন এনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সংশোধিত আচরণবিধির খসড়া অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাকক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ পৌনে চার ঘণ্টা বৈঠকটি চলে।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির সপ্তম কমিশন বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। তবে সময় অভাবে সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে আলোচনা আগামী বৈঠকের জন্য মুলতবি রাখা হয়।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে আরপিওর ধারা ৯১ (ঙ) যেটা আছে প্রার্থিতা বাতিল করার, এটা ইতোপূর্বে আচরণবিধিতে সন্নিবেশিত ছিল না। এটাকে সন্নিবেশ করা হচ্ছে।
বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারের ওপর কিছু বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, সার্কিট হাউস, ডাক বাংলো, রেস্ট হাউসের এটার উপরে কিছু বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন এসব সুযোগ-সুবিধা প্রার্থীরা অবাধে গ্রহণ করতে পারবেন না।
এ সময় ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সীমানা ও আচরণবিধি নিয়ে বৈঠকে ইসি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি এবং সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাকক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়।
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির সপ্তম কমিশন সভা এটি। সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন বৈঠকে।
এ সভার আলোচ্য সূচির মধ্যে রয়েছে- রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫; সংসদীয় আসনের সীমানা সংক্রান্ত এবং বিবিধ।
গত ১২ মে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার। সংসদের ৭৫টি আসনের সীমানা পুনরায় নির্ধারণে এখন পর্যন্ত ৬০৭টি আবেদনও পেয়েছে ইসি।
সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ৩০০ আসনের সীমানার খসড়া প্রকাশ করে থাকে ইসি। এ খসড়া প্রস্তাবের ওপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ইতোমধ্যে বলেছেন, এ পর্যন্ত ৬০৭টি আবেদন জমা পড়েছে। ৭৫টি আসনের পুনর্বিন্যাস চেয়ে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে এসব আবেদন করেছেন। এসব আবেদন নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে কমিটি পর্যায়ে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ভোটের সময় আচরণবিধিতে প্রচারের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ ও সোশ্যাল মিডিয়া তদারকিসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব রয়েছে খসড়া আচরণবিধিতে।
এ বৈঠকে দুটি বিষয় ছাড়াও বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এপ্রিলের প্রথমার্ধে করার বিষয়ে ৬ জুন প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ এবং ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে ভোটের বিষয়ে যৌথ ঘোষণার পর এটি কমিশন সভা হতে যাচ্ছে।
সরকারের সঙ্গে আলোচনা না হলে নির্বাচনের তারিখ বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে না তুলে ধরে এর আগে সিইসি বলেছেন, ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের যে সময়েই নির্বাচন হোক না কেন নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি রয়েছে।
গত ১৫ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলের হোক- জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আগে আমাদের বলা হয়েছিল ডিসেম্বর থেকে জুন, আমরা সে সময় মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি ও এগিয়ে যাচ্ছি।