নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টারের ব্যবহার থাকছে না। পাশাপাশি দলীয় অঙ্গীকারনামা, এক প্লাটফর্মে সব প্রার্থীর ইশতেহার ঘোষণা, সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়াকড়ি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের জরিমানা তিনগুণ বাড়িয়ে দেড়লাখ টাকার বিধান করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা ও করণীয় নানা বিষয়েও পরিবর্তন এনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সংশোধিত আচরণবিধির খসড়া অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাকক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ পৌনে চার ঘণ্টা বৈঠকটি চলে।

সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির সপ্তম কমিশন বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। তবে সময় অভাবে সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে আলোচনা আগামী বৈঠকের জন্য মুলতবি রাখা হয়।

বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় বিলবোর্ডের ব্যবহার অতীতে ছিল না। এটাকে ইন (অন্তর্ভুক্ত) করা হচ্ছে। পোস্টার ব্যবহার বাদ করার ব্যাপারে যেটা সংস্কার কমিশনেরও একটা প্রস্তাব ছিল, আমরাও একমত হয়েছি। আমরা পোস্টার ব্যবহার বাদ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি। ব্যানার, ফেস্টুন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইত্যাদি নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে আরপিওর ধারা ৯১ (ঙ) যেটা আছে প্রার্থিতা বাতিল করার, এটা ইতোপূর্বে আচরণবিধিতে সন্নিবেশিত ছিল না। এটাকে সন্নিবেশ করা হচ্ছে।

বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারের ওপর কিছু বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, সার্কিট হাউস, ডাক বাংলো, রেস্ট হাউসের এটার উপরে কিছু বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন এসব সুযোগ-সুবিধা প্রার্থীরা অবাধে গ্রহণ করতে পারবেন না।

এ সময় ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ব যবহ র আচরণব ধ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা

খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ার খানাবাড়ি এলাকায় আল আমিন (৪০) নামের এক ঘের ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত ৯টার দিকে তাঁকে গলা কেটে রাস্তার ওপর ফেলে যায় তারা।

নিহত আল আমিনের বাড়ি দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা দিঘির পূর্বপাড় এলাকায়। তিনি ইজারা নিয়ে মাছের ঘেরের ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া খানাবাড়ি সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন আল আমিন। পথিমধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আল আমিনের মরদের পাশে মোটরসাইকেল পড়ে ছিল।

দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল। কিছুদিন আগে তিনি কারাগার থেকে বের হন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। রাতেই খুলনা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ