ক্লাব বিশ্বকাপে কে কোথায় দাঁড়িয়ে, সর্বোচ্চ শট মেসির, সর্বোচ্চ সেভও এক আর্জেন্টাইনের
Published: 19th, June 2025 GMT
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ৩২টি দল। প্রাথমিক পর্বে যারা মাঠে নেমেছে আট গ্রুপে ভাগ হয়ে। পরিবর্ধিত এই সংস্করণে সব কটি দল এখন পর্যন্ত একটি করে ম্যাচ খেলেছে। হিসাব করলেই পেয়ে যাবেন, এ পর্যন্ত ম্যাচ হয়েছে মোট ১৬টি। এক ম্যাচ করে খেলার পর কোন ক্লাবের কী অবস্থা?
যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সময় গতকাল রাতে মরক্কোর ক্লাব উইদাদকে ২–০ গোলে হারায় ম্যানচেস্টার সিটি। মেক্সিকান ক্লাব পাচুকার বিপক্ষে ২–১ গোলে জেতে অস্ট্রিয়ান ক্লাব সালজবুর্গ। সৌদি ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ। আজ বাংলাদেশ সময় সকালে মিসরীয় ক্লাব আল আইনকে ৫–০ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস। ইতালিয়ান ক্লাবটির বড় জয়ের মধ্য দিয়ে শেষে হয় ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড।
জানিয়ে রাখা ভালো, প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল অর্থাৎ ৮ গ্রুপ থেকে ১৬টি দল উঠবে শেষ ষোলোয়।
আরও পড়ুনসবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রি: মেসির সঙ্গে আছেন এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতও৫৭ মিনিট আগেকে কোথায় দাঁড়িয়েএ গ্রুপ: এই গ্রুপের দুটি ম্যাচই ড্র হয়েছে। দুটিই গোলশূন্য। প্রথম ম্যাচটিতে মুখোমুখি হয়েছিল মিসরের ক্লাব আল আহলি ও পর্তুগালের ক্লাব পোর্তো। অন্য ম্যাচটি খেলেছে ব্রাজিলের পালমেইরাস ও মেসির ইন্টার মায়ামি।
বি গ্রুপ: প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া ফ্রান্সের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। ব্রাজিলের ক্লাব বোতাফোগোও জিতেছে, তবে গোল ব্যবধানে তারা আছে দুইয়ে। বোতাফোগোর কাছে হারা যুক্তরাস্ট্রের সিয়াটল সাউন্ডার্স ১ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পেয়ে তৃতীয়। পিএসজির কাছে হারা আতলেতিকো মাদ্রিদও ১ ম্যাচে পয়েন্ট না পেয়ে চতুর্থ। গোল ব্যবধানে আতলেতিকোর (–৪) চেয়ে শ্রেয়তর অবস্থানে সিয়াটল (–১)।
আল আইনের জালে আজ ৫ গোল করেছে জুভেন্টাস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
‘শরিয়াহ ও সরকারি নীতিবিরোধী’: নারী ও ইরানি লেখকদের ১৪০টিসহ ৬৭৯ বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যসূচি থেকে নারীদের লেখা বই নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার। মানবাধিকার ও যৌন হয়রানি–সম্পর্কিত বিষয়ে পাঠদানের ওপর একটি নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শরিয়াহবিরোধী ও সরকারি নীতির পরিপন্থী বলে মনে হওয়ায় ৬৭৯টি বইকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে চিহ্নিত করেছে তালেবান। নিষিদ্ধ এসব বইয়ের মধ্যে ১৪০টি নারীদের লেখা ও ৩১০টি ইরানি লেখকদের লেখা বা ইরানে প্রকাশিত।
নিষিদ্ধ বইয়ের ৫০ পৃষ্ঠার একটি তালিকা আফগানিস্তানের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আফগান সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলা হয়েছে, তারা এখন থেকে ১৮টি বিষয়ে পাঠদান করতে পারবে না। তালেবানের এক কর্মকর্তা বলেন, এসব বিষয় মূলত ইসলামি শরিয়তের মূলনীতি ও সরকারের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
চার বছর আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ধরনের নানা নিয়মকানুন জারি করেছে তালেবান সরকার। চলতি সপ্তাহেই তালেবানের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে অন্তত ১০ প্রদেশে ‘ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট’ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আফগান সরকারের পক্ষ থেকে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলা হয়েছে, তারা এখন থেকে ১৮টি বিষয়ে পাঠদান করতে পারবে না। তালেবানের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এসব বিষয় মূলত ইসলামি শরিয়তের মূলনীতি ও সরকারের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।অনেকের মতে, এসব নিয়মকানুন আফগানিস্তানের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে কিশোরী ও নারীরা এসব নিয়মের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ষষ্ঠ শ্রেণির পর থেকে তাদের শিক্ষা গ্রহণ নিষিদ্ধ। ২০২৪ সালের শেষ দিকে ধাত্রীবিদ্যা বা মিডওয়াইফারি কোর্সও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ১৮ বিষয়ে পাঠদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার ৬টিই নারীদের নিয়ে, যেমন ‘জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’, ‘দ্য রোল অব উইমেন ইন কমিউনিকেশন’ ও ‘উইমেনস সোসিওলজি’।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কী কারণে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া ১৪ জুলাই ২০২৫তালেবান সরকার বলেছে, তারা আফগান সংস্কৃতি ও ইসলামিক আইনের ভিত্তিতে নারী অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তালেবানের এসব নিয়মকানুন দেশটির মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে কিশোরী ও নারীরা এসব নিয়মের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।তবে আফগানিস্তানের বই পর্যালোচনা কমিটির একজন সদস্য বিবিসিকে বলেন, নারী লেখকদের সব বই পড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ বইগুলোর তালিকায় আফগানিস্তানের সাবেক সরকারের বিচার মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী জাকিয়া আদেলির বইও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘চার বছরে তালেবান যা করেছে, তাতে পাঠ্যসূচিতে এমন পরিবর্তনে অবাক হইনি। নারীরা পড়াশোনা করতে পারছেন না। তাদের মতামত ও লেখালিখির অধিকারও দমন করা হবে, এটাই স্বাভাবিক।’
আরও পড়ুনরাশিয়ার পর আর কোন কোন দেশ তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে পারে০৫ জুলাই ২০২৫গত আগস্টের শেষ দিকে বই নিষিদ্ধের অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেন তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক জিয়াউর রহমান আরিয়ুবি। তিনি বলেন, আলেম ও বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুধু নারী লেখকই নয়, নিষিদ্ধ বইয়ের তালিকায় ইরানি লেখক ও প্রকাশকদের বইও রয়েছে। বই পর্যালোচনা কমিটির এক সদস্য বলেন, আফগান পাঠ্যসূচিতে ইরানি বিষয়বস্তুর প্রবেশ ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনতালেবান শাসনের তিন বছর, কেমন আছে আফগানিস্তান১৫ আগস্ট ২০২৪