বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে নতুন করে দুজনকে সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন দেবাশীষ পাল, সদস্য (ভৌতবিজ্ঞান) ও শামশাদ বেগম কোরাইশী, সদস্য (পরিকল্পনা)।

বৃহস্পতিবার পরমাণু শক্তি কমিশন থেকে পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সদস্য নিযুক্ত হওয়ার আগে দেবাশীষ পাল পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ছিলেন। আর শামশাদ বেগম ছিলেন ঢাকার পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের পরিচালক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেবাশীষ পাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। ২০১২ সালে তিনি প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শামশাদ বেগম কোরাইশী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে। তিনি ১৯৯৩ সালে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকার পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের রসায়ন বিভাগের প্রধান, বৈজ্ঞানিক তথ্য বিভাগ এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পরম ণ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

দরজা ছাড়া বাথরুম, কেমন ছিল সঞ্জয় দত্তর জেলজীবন

১৯৯৩ সালের মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় সঞ্জয় দত্তের বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছিল, সেই প্রক্রিয়ার বহু অজানা মুহূর্ত তুলে ধরলেন আইপিএস রাকেশ মারিয়া। বিশেষ করে এক মুহূর্ত, যখন বাবার সামনে পড়ে গিয়ে ক্ষমা চাইছিলেন সঞ্জয়।

কে এই রাকেশ মারিয়া
আইপিএস রাকেশ মারিয়া—যিনি ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন—সম্প্রতি আবারও স্মরণ করলেন সেই সময়কার তদন্তপ্রক্রিয়া। এই মামলার সূত্র ধরেই সঞ্জয় দত্তকে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে জেলে যেতে হয়েছিল। দেশি স্টুডিওজকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেন সেই প্রসঙ্গে।

যেভাবে মামলায় জড়ালেন
রাকেশ মারিয়া জানান, বান্দ্রার পরিচিত রেস্তোরাঁর মালিক হানিফ কদাওয়ালা আর সেই সময়কার প্রভাবশালী প্রযোজক সামীর হিঙ্গোরা প্রথম তাঁকে সঞ্জয়ের নাম বলেন। ‘ওরা প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করছিল। পরে বলল, “আপনারা বড় কোনো নাম এলেই পিছিয়ে যাবেন।” আমি জিজ্ঞেস করলাম, “কোন বড় মানুষ?” তখন ওরা বলল, “সঞ্জু বাবা।” আমি ভাবলাম, সঞ্জয় দত্তর আবার এই ঘটনায় কী ভূমিকা,’ বলেন রাকেশ।
হানিফ ও সামীর জানান, বিস্ফোরণকারীরা গাড়ির গোপন চেম্বার থেকে অস্ত্র বের করার জন্য একটা ‘নিরিবিলি জায়গা’ চেয়েছিল। আর সেই জায়গা হিসেবে ওরা সঞ্জয় দত্তের বাড়ির কথা বলে। এই অস্ত্রই পরে ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়। রাকেশের দাবি, ‘তারা সঞ্জয়ের বাড়িতে আসে। ফোনে আগেই সব সঞ্জয়কে জানানো হয়েছিল। সঞ্জয় দত্ত তাদের বলেছিলেন, বাড়ির বাইরে গাড়ি রেখে সব সরঞ্জাম ভেতরে রেখে যেতে।’

সঞ্জয় দত্ত। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দরজা ছাড়া বাথরুম, কেমন ছিল সঞ্জয় দত্তর জেলজীবন