গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ছুরিকাঘাতে নার্গিস আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে কাপাসিয়া উপজেলার ধরপাড়া গ্রামে তাকে হত্যা করা হয়। পুলিশ জানায়, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে নার্গিসের স্বামীর ভাইয়ের ছেলে অটোরিকশাচালক নাজমুল শেখ (৩০) তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।

নিহত গৃহবধূ উপজেলার ধরপাড়া গ্রামের মো.

শহীদ মিয়ার মেয়ে এবং আওলাদ হোসেনের স্ত্রী। নার্গিস তিন সন্তানের জননী।

আরো পড়ুন:

প্রবাসীর লাশ হাসপাতালে ফেলে গেলেন স্ত্রী, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

ভাড়াটিয়ার ধাক্কায় বাড়িওয়ালার মৃত্যু, আটক ৩

ওসি জানান, পারিবারিক বিরোধের একপর্যায়ে নার্গিস, তার স্বামী ও নাজমুলের মধ্যে ঝগড়া বাধে। পরে নাজমুল ছুরি দিয়ে নার্গিসকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল কাজ করছে এবং লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিহতের বোন সুফিয়া আক্তার বলেন, “আমার বোনকে নাজমুল বুকে ছুরি মেরে হত্যা করেছেন। আমি এখন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের পাশে আছি।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান জানান, গত রমজানে নার্গিসের স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনায় নাজমুলের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। মাদকাসক্ত নাজমুলকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিক সালিশি বৈঠক হয়। সেই পুরনো বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। 
 

ঢাকা/রফিক/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড় সীমান্তে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

পঞ্চগড়ের তিন সীমান্ত এলাকা দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার তেঁতুলিয়া উপজেলার শুকানি, সদর উপজেলার টোকাপাড়া ও জয়ধরভাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে তাদের ঠেলে পাঠানোর পর আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি ও সীমান্ত সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন শুকানি সীমান্ত দিয়ে ভারতের ট্যাপরাভিটা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পাঁচ নারী ও শিশুকে সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠায়। বিজিবির ভজনপুর বিওপির একটি টহল দল তেঁতুলিয়ার দেবনগর ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকা থেকে তাদের আটক করে। একই সময়ে সদর উপজেলার টোকাপাড়া সীমান্ত দিয়ে আরও ছয়জনকে ঠেলে পাঠানো হয়। বিজিবি টহল দল কমলাপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। 

অন্যদিকে, সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধরভাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের শ্যাম বিওপির সদস্যরা সাতজনকে ঠেলে পাঠায়। সকালে তাদের আটক করেন জয়ধরভাঙ্গা বিওপির বিজিবি সদস্যরা।
সদর থানার ওসি আবদুল্লাহ হিল জামান বলেন, বিএসএফের ঠেলে পাঠানো ১৩ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। তারা সবাই বাংলাদেশি। তাদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তাদের পরিচয় যাচাই সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বাকি পাঁচজনকে তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। এর আগে চলতি বছর পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ছয় দফায় নারী-শিশুসহ ৮৩ বাংলাদেশিকে একইভাবে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ