চারপাশে সিসি ক্যামেরায় বসিয়ে বাড়িতে মাদক ব্যবসা, আটক ৫
Published: 25th, June 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও ডিজিটাল সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার বিকেলের দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, আখাউড়া বিজিবি ও আখাউড়া থানা পুলিশের সমন্বয়ে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সেনারবাদী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৩ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা, ৬০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ১৩টি অ্যান্ড্রয়েড ও ১৭টি সাধারণ মোবাইলসহ মোট ৩২টি মোবাইল ফোন, ২টি ল্যাপটপ এবং মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, মো.
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়ছল উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনারবাদী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
প্রথমে মাদক ব্যবসায়ীরা আমাদের যৌথবাহিনীর ওপর হামলা করে কিন্তু আমরা হামলা উপেক্ষা করে এ অভিযান পরিচালনা করি। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য়
এছাড়াও পড়ুন:
বান্দরবানে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে পদযাত্রা
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবানে জেলা বিএনপি থেকে সাচিংপ্রু জেরীর দলীয় প্রার্থিতা বাতিল করে জাবেদ রেজাকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে জেলা শহরে আজ সোমবার পদযাত্রা ও সমাবেশ করেছে দলটির একটি পক্ষ। কর্মসূচিতে মাম্যাচিং-জাবেদ রেজা পক্ষের বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভারপ্রাপ্ত দলীয় চেয়ারপারসনের কাছে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানান।
আজ বেলা ১১টায় মাম্যাচিং-জাবেদ পক্ষের কয়েক শ নেতা-কর্মী জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে পদযাত্রা করেন। তাঁরা পদযাত্রা শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হন। এ সময় বক্তব্য দেন বান্দরবান সদর উপজেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পম্পি রানি দাশ, জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি মো. মুসা, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. আয়ুব এবং মহিলা দলের সদস্য সাইং সাইং নু মারমা।
মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পম্পি রানি দাশ বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ১৭ বছর ধরে মাম্যাচিং ও জাবেদ রেজা এবং তাঁদের নেতা-কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাড়িতে থাকতে পারেননি। কিন্তু সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেও জাবেদ রেজাকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না করা অবিচার। পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. আইয়ুব বলেন, যোগ্য হিসেবে জাবেদ রেজাই প্রার্থী হওয়ার কথা। কিন্তু তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি। বিএনপি এবার এই আসনে জিততে না পারলে জেলা থেকে বিলীন হয়ে যাবে।
তবে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নিজের অনুসারীদের এ কর্মসূচিতে জাবেদ রেজা নিজেই অনুপস্থিত ছিলেন। এমনকি তাঁর পক্ষের শীর্ষ নেতারাও কেউ ছিলেন না। বিষয়টি জানতে জাবেদ রেজাকে ফোন করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
বান্দরবান ৩০০ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী সাচিংপ্রু জেরীর পক্ষের নেতা ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রশিদ বলেন, জাবেদ রেজা মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। এ জন্য তিনি অথবা অন্য কোনো পক্ষ তাঁর নামে পদযাত্রা করিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র দাখিল করলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তখন সবাই একযোগে কাজ করবেন। কোনো বিভেদ থাকবে না।
১৯৯৬ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ছাড়া কোনো সংসদীয় নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি জয়লাভ করতে পারেনি। বান্দরবান জেলা বিএনপিতে সাচিংপ্রু জেরী ও মাম্যাচিং-জাবেদ পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বারবারই দলটি নির্বাচনে হারছে বলে দলের নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের ধারণা।