চিয়া বীজ এবং কাঠবাদাম দুটিই স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। দুটিকেই শরীরের জন্য পুষ্টিকর সব উপাদান রয়েছে। ভালো ফলের জন্য দুটি উপাদানই ভিজিয়ে খাওয়া ভালো। চিয়া বীজে উচ্চ ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। অন্যদিকে,কাঠবাদামে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি। তবে এই দুটির মধ্যে ছোটখাটো কিছু পার্থক্য রয়েছে যা দুটিকে একে অপরের থেকে আলাদা করে।
ভেজানো চিয়া বীজের উপকারিতা
২ টেবিল চামচ ভেজানো চিয়া বীজে (২৮গ্রাম ) ১৩৮ ক্যালোরি, ১০ গ্রাম ফাইবার এবং ৪ গ্রাম প্রোটিন এবং ৯ গ্রাম ফ্যাট থাকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চিয়া বীজ খারাপ কোলেস্টেরল এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
পরিপাকতন্ত্র উন্নত করে : চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার থাকায় এটি হজম ঠিক রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের কমায়।
ওজন কমাতে সহায়ক: চিয়া বীজ দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখে। এর ফলে বারবার ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমে। সেই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হৃদরোগের জন্য উপকারী: এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়। এর ফলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে।
হাড়কে শক্তিশালী করে: এটি ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, যা হাড়কে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে।
ত্বক এবং চুলের জন্য ভাল: এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে । এর পাশাপাশি চুল শক্তিশালী করে।
ভেজানো কাঠবাদামের উপকারিতা: ২০টি ভেজানো বাদামে (২৮ গ্রাম) ৯৮ ক্যালোরি, ৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ৩ দশমিক ৫ গ্রাম প্রোটিনের সঙ্গে ৯ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এছাড়াও, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ বাদাম ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়, খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। এর ফলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে