Samakal:
2025-08-11@11:30:42 GMT

আমাদের বিনিয়োগের ৩০% এসএমইতে

Published: 26th, June 2025 GMT

আমাদের বিনিয়োগের ৩০% এসএমইতে

ব্যাংকিং যাত্রার গত ৪ বছরে আমরা দুই হাজারের বেশি এসএমই উদ্যোক্তাকে বিনিয়োগ করেছি। আমাদের মোট বিনিয়োগ পোর্টফোলিওর প্রায় ৩০ শতাংশ এসএমই, যা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে

সমকাল : এসএমই খাতে কী কী অর্জন রয়েছে আপনাদের?
তারিক মোর্শেদ : বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক ২০২১ সালের ১০ মার্চ ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। দেশের অর্থনীতির অন্যতম স্টেকহোল্ডার এসএমই খাতের উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগে পরিচালিত ব্যবসায়ীরা অনেকে বিনিয়োগের সঠিক সহযোগিতা ও ব্যবস্থাপনা না থাকায় অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়েন। রয়েছেন এ জন্য সূচনালগ্ন থেকেই ব্যাংকের অগ্রাধিকারের মধ্যে এসএমই খাত অন্যতম। এসএমই খাতের উন্নয়নের জন্য আমরা প্রায় ১০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এর  ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সহায়তায় তাদের নিবন্ধিত সদস্য বা উদ্যোক্তাদের অতি সহজেই তুলনামূলক কম মুনাফায় বিনিয়োগ প্রদান করছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান ও অ্যাসোয়িশনগুলো হচ্ছে– এসএমই ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি, বাংলাদেশ পেপারকোন অ্যান্ড টিউব ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক্যাল মার্চেন্ডাইজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, উইমেন ইন্টারপ্রেনারস নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পিভিসি পাইপ প্রস্তুতকারক সমিতি।
মাইক্রোক্রেডিট কর্মসূচির আওতায় আমরা প্রায় আড়াই হাজার পরিবারকে বিভিন্ন রকম আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে আনব্যাংকড পিপলকে ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। ১৭ কোটির জনসংখ্যার দেশে এসএমইর কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যুগোপযোগী, ব্যবসাবান্ধব, প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ এবং নতুন নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে শিগগিরই এই খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান দ্বিগুণ করা সম্ভব।
এ খাতে আমাদের কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। ব্যাংকিং যাত্রার গত ৪ বছরে আমরা দুই হাজারের বেশি এসএমই উদ্যোক্তাকে বিনিয়োগ করেছি। আমাদের মোট বিনিয়োগ পোর্টফোলিওর প্রায় ৩০ শতাংশ এসএমই, যা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন। আমাদের ব্যাংক কর্মসংস্থান তৈরি এবং স্থানীয় পণ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখছেন। আমরা উদ্ভাবনী এবং টেকনোলজিক্যাল ব্যবসা বাড়াতে আমাদের ব্যাংকিং সাপোর্ট অব্যাহত রেখেছি। আমরা এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এসএমই ফাউন্ডেশন প্রদত্ত ফান্ড সুবিধা প্রদান করছি, যা অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে।
সমকাল : আপনারা অর্থায়নে কোন বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন? আগামীতে ভাবনা কী?
তারিক মোর্শেদ : আমরা আগামীতে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় আনতে শিগগিরই এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা শুরু করার জন্য কাজ করছি। গ্রামীণ এবং শহর অঞ্চলের সব পর্যায়ের কৃষিবান্ধব ও নারী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে গুরুত্ব প্রদান করছি। 


ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের আওতায় আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং নানামুখী ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভূমিকা রাখছি। গ্রিন ব্যাংকিং, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্ব প্রদান করছি এবং সে লক্ষ্যে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করছি। স্টার্টআপ ও প্রযুক্তিনির্ভর এসএমই ব্যাংকিংয়ে অধিক গুরুত্ব প্রদান করছি।
সমকাল : এসএমই খাতে রপ্তানি বাড়াতে কীভাবে অবদান রাখা যায়?
তারিক মোর্শেদ : বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী এসএমইকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যেখানে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত এসএমই খাতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তবে বাস্তবতা হলো এসএমই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকের এ সম্পর্কিত ধারণা কম থাকায় জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান সেভাবে বাড়ছে না। সচেতনতা বৃদ্ধি ও তার বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে এসএমই খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব। তাই আমরা এসএমই উদ্যোক্তাসহ সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীকে তাদের পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন এবং বিক্রয় পরবর্তী সেবা আরও উন্নত করতে পরামর্শ দিচ্ছি। এসএমই উদ্যোক্তাসহ সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীর পণ্য রপ্তানির প্রশিক্ষণ ও সনদ প্রদান করছি। ব্যবসায়ীদের ই-কমার্স ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে পণ্য বাজারজাতে উৎসাহ এবং সহযোগিতাও করছি আমরা।
সমকাল : এসএমই খাতে নারীর সম্পৃক্ততা বাড়াতে করণীয় কী?
তারিক মোর্শেদ : দেশে প্রায় ৩.

৮ মিলিয়ন নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেরই সরকার-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন। অনেক নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন, যারা সঠিক গাইডলাইনের অভাবে যোগ্যতা থাকার পরও উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারছেন না। তাই নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম থাকা প্রয়োজন। যেখানে যোগাযোগ করলে তারা তাদের মেধা, দক্ষতা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী সহযোগিতা পেতে পারেন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আকর্ষণীয় বিনিয়োগ স্কিম চালু করা উচিত। নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন পর্যায়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সামাজিক ও পারিবারিক অঙ্গনেও নারী উদ্যোক্তাদের পজিটিভভাবে গ্রহণ করতে হবে। তাদের জন্য ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক বাড়ানো, পরামর্শ প্রদান এবং সব পর্যায়ের ব্যবসায় সমান সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সমকাল : এসএমইবান্ধব নীতির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য কী হওয়া উচিত?
তারিক মোর্শেদ : এসএমই খাতের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং নীতিমালা করার সময় এসেছে। গ্রাম অঞ্চলের আমানতের অন্তত ৬০ শতাংশ ওই অঞ্চলের এসএমই খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ করা উচিত। এসএমই গ্রাহককে তাদের ব্যবসায়িক তথ্য সংরক্ষণে আরও যত্নশীল হতে হবে। এসএমই গ্রাহককে স্বল্প মুনাফায় বিনিয়োগ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। এসএমই গ্রাহকের জন্য ট্যাক্স ইনসেনটিভ ঘোষণা এবং ব্যবসাবান্ধব নীতির প্রয়োজন। তাদের ব্যবসায়িক নিবন্ধন, লাইসেন্স গ্রহণ এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবেশ সহজতর করা দরকার। এসএমই গ্রাহকদের তাদের ব্যবসার ধরন অনুযায়ী সময়ে সময়ে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ প্রদান এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারী, যুব এবং প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের প্রতি দিতে হবে বিশেষ দৃষ্টি।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এসএমই খ ত র সব পর য য় র এসএমই গ র ব ন য় গ কর র ব যবস য় ব যবস য় ক ব যবস থ সহয গ ত র আওত য় আম দ র র জন য অন য য় ত করত সরক র সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৮৪ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৩ থেকে ৭ আগস্ট) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেনে শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৮৪ কোটি ১ লাখ টাকা।

শনিবার (৯ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (৩৫.৩৫) পয়েন্ট বা ০.৬৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪০৮ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক (১৬.৬৫) পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ কমে ২ হাজার ৯৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক (০.১৮) পয়েন্ট বা ০.০২ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৭০ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) (৪১.২৫) পয়েন্ট বা ৪.২২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩৫ পয়েন্টে।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজার আধুনিকায়নে কাজ করবে এডিবি ও বিএসইসি

লভ্যাংশ দেবে না আইসিবির ৮ মিউচ্যুয়াল ফান্ড

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ১২ হাজার ২২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৮৫৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ১৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৪৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৮টির, দর কমেছে ২২৭টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৮টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই (৯.৩৬) পয়েন্ট বা ০.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৯৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক (০.৩২) শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৪৩৭ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক (০.০৯) শতাংশ কমে ৯ হাজার ৩১৭ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৮৫ শতাংশ বেড়ে ৯৫৬ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.৩১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৬ হাজার ২৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ২২৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮১ কোটি ৮১  লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬০টির, দর কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশে প্রথম এসএমই প্রিপেইড কার্ড চালু করল এমটিবি, সেবা পে ও মাস্টারকার্ড
  • পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৮৪ কোটি টাকা