স্মার্টফোনের যুগে টেক্সট মেসেজ বা খুদে বার্তা আমাদের দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। চটজলদি খবর আদান–প্রদান থেকে শুরু করে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা—সবই চলে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার কিংবা খুদে বার্তায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের নানা ইমোজি। ফলে যোগাযোগ হয়ে উঠেছে আরও সহজ ও প্রাণবন্ত। কিন্তু সব কথাই কি মেসেজে বলা যায়? কিংবা বলা উচিত? কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা সংবেদনশীল প্রসঙ্গ খুদে বার্তায় বলা হলে, ছোট্ট পর্দায়ই হারিয়ে যেতে পারে বক্তব্যের মৌলিক অর্থ। তৈরি হতে পারে ভুল–বোঝাবুঝি। এমনকি স্বাভাবিক সম্পর্কও খারাপ হয়ে যেতে পারে। আবার ভুল সময়ে পাঠানো একটি ভুল বার্তা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই করে বেশি। জেনে নেওয়া যাক এমন ১২টি কাজ, যা টেক্সট মেসেজে কখনোই করা উচিত নয়।

১.

বিচ্ছেদ-বার্তা টেক্সটে নয়

সম্পর্ক স্বল্পকালীন কিংবা দীর্ঘদিনের—যা-ই হোক না কেন, নানা কারণেই তাতে বিচ্ছেদের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এমতাবস্থায় ব্রেকআপ বা সম্পর্কচ্ছেদের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই টেক্সট মেসেজে জানানো উচিত নয়। অন্তত ফোন করে কিংবা সম্ভব হলে সামনাসামনি দেখা করে সম্পর্ক শেষ করার শ্রদ্ধাটুকু দেখান। ছোট্ট বার্তায় সম্পর্ক শেষ করা কেবল অভদ্রতা নয়, এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও অসম্মানজনক। অনেক সময় ভুল–বোঝাবুঝির কারণেও ব্রেকআপ হতে পারে। হয়তো মুখোমুখি আলোচনায় বেঁচে যেতে পারে আপনার সম্পর্ক।

২. ডেট বাতিলে খুদে বার্তা নয়

প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য নির্ধারিত সময় বা দিনক্ষণ হুট করে বাতিল করার প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ‘কাজ পড়ে গেছে, পরে দেখা হবে’-জাতীয় কিছু লিখে বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া মোটেই শিষ্টাচারসম্মত নয়। এর চেয়ে বরং ফোন করে বিশেষ সমস্যার কথা জানিয়ে বলতে পারেন, আজ দেখা করতে পারছি না। আগামী ‘অমুক দিন বা সময়ে’ কি দেখা হতে পারে? এতে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা যেমন বজায় থাকবে, তেমনি প্রিয় মানুষটিও নিজেকে গুরুত্বহীন ভাববেন না।

খারাপ খবর টেক্সট মেসেজে জানাবেন না

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল: ট্রফি নিয়ে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ফুটবল–উৎসব

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত ‘ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’–এর ট্রফি ট্যুর শেষ হলো আজ। ১২ নভেম্বর চট্টগ্রামে শুরু হয় এই ট্রফি ট্যুর। পরপর দুই দিনে চট্টগ্রামের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে ট্রফি ঢাকায় আসে ১৫ নভেম্বর। ঢাকায় টানা তিন দিনব্যাপী ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রফি ট্যুর শেষ হয় আজ।

আরও পড়ুনটাইব্রেকারের ‘কালো জাদু’র অভিযোগ নাইজেরিয়ার, বিশ্বকাপ–স্বপ্ন ভেঙে চুরমার৩৭ মিনিট আগে

এ উদ্যোগে সাড়া পড়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ট্রফির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণের মাধ্যমে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, খেলোয়াড় ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে প্রতিটি ক্যাম্পাসই কিছু সময়ের জন্য পরিণত হয় ফুটবল–উৎসবের মঞ্চে।

বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আলো ট্রফি ট্যুরের একটি মুহূর্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ