Samakal:
2025-11-17@14:35:57 GMT

ফাঁকা গুলির ভিডিও ভাইরাল

Published: 29th, June 2025 GMT

ফাঁকা গুলির ভিডিও ভাইরাল

গাজীপুরের শ্রীপুরে আকাশের দিকে পিস্তল তাক করে ফাঁকা গুলি ছোড়েন এক তরুণ। সেই দৃশ্য ধারণ করে পোস্ট করেন নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে। শনিবার রাত থেকে ৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর পুলিশ ওই তরুণের খোঁজ শুরু করলে পালিয়ে যান তিনি। ফেসবুক থেকেও সরিয়ে ফেলেন ওই ভিডিও।

ভিডিওতে দেখা যায়, নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে হাতে পিস্তল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ওই তরুণ। ফুল হাতা কালো শার্ট পরা তরুণকে আকাশের দিকে পিস্তল তাক করে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই তরুণের নাম তেহিম মাতবর (১৮)। তাঁর বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধনুয়া গ্রামে।

গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাজি ইসমাইল হোসেন ওই তরুণের পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, তেহিম মাতবর এলাকায় নানা অপরাধে জড়িত। এলাকায় একটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেয় সে। গুলি ছোড়ার ভিডিওটি তিনি দেখেছেন জানিয়ে বলেন, ওই তরুণই যে তেহিম, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারেন।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, তেহিম মাতবরের নিয়ন্ত্রণে ১৫-২০ সদস্যের একটি কিশোর গ্যাং এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। লোকজনকে জিম্মি করে টাকা আদায়সহ নানা অপরাধে তারা জড়িত।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে পুলিশ। তবে গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তেহিম মাতবরকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে পদযাত্রা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবানে জেলা বিএনপি থেকে সাচিংপ্রু জেরীর দলীয় প্রার্থিতা বাতিল করে জাবেদ রেজাকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে জেলা শহরে আজ সোমবার পদযাত্রা ও সমাবেশ করেছে দলটির একটি পক্ষ। কর্মসূচিতে মাম্যাচিং-জাবেদ রেজা পক্ষের বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভারপ্রাপ্ত দলীয় চেয়ারপারসনের কাছে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানান।

আজ বেলা ১১টায় মাম্যাচিং-জাবেদ পক্ষের কয়েক শ নেতা-কর্মী জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে পদযাত্রা করেন। তাঁরা পদযাত্রা শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হন। এ সময় বক্তব্য দেন বান্দরবান সদর উপজেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পম্পি রানি দাশ, জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি মো. মুসা, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. আয়ুব এবং মহিলা দলের সদস্য সাইং সাইং নু মারমা।

মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পম্পি রানি দাশ বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ১৭ বছর ধরে মাম্যাচিং ও জাবেদ রেজা এবং তাঁদের নেতা-কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাড়িতে থাকতে পারেননি। কিন্তু সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেও জাবেদ রেজাকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না করা অবিচার। পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. আইয়ুব বলেন, যোগ্য হিসেবে জাবেদ রেজাই প্রার্থী হওয়ার কথা। কিন্তু তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি। বিএনপি এবার এই আসনে জিততে না পারলে জেলা থেকে বিলীন হয়ে যাবে।

তবে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নিজের অনুসারীদের এ কর্মসূচিতে জাবেদ রেজা নিজেই অনুপস্থিত ছিলেন। এমনকি তাঁর পক্ষের শীর্ষ নেতারাও কেউ ছিলেন না। বিষয়টি জানতে জাবেদ রেজাকে ফোন করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

বান্দরবান ৩০০ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী সাচিংপ্রু জেরীর পক্ষের নেতা ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রশিদ বলেন, জাবেদ রেজা মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। এ জন্য তিনি অথবা অন্য কোনো পক্ষ তাঁর নামে পদযাত্রা করিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র দাখিল করলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তখন সবাই একযোগে কাজ করবেন। কোনো বিভেদ থাকবে না।

১৯৯৬ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ছাড়া কোনো সংসদীয় নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি জয়লাভ করতে পারেনি। বান্দরবান জেলা বিএনপিতে সাচিংপ্রু জেরী ও মাম্যাচিং-জাবেদ পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বারবারই দলটি নির্বাচনে হারছে বলে দলের নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের ধারণা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ