টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২০, নিখোঁজ ১৭১
Published: 10th, July 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মধ্যাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২০ জনে পৌঁছেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৭১ জন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার (৪ জুলাই) টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের স্যান অ্যান্টোনিও শহরে প্রবল বৃষ্টির কারণে গুয়াডালুপ নদীর পানি বেড়ে এই বন্যা হয়। বন্যার পানিতে কের কাউন্টির নদী তীরবর্তী সামার ক্যাম্প ‘মিস্টিক’ প্লাবিত হয়। এতে ক্যাম্পে অংশ নেওয়াদের মধ্যে অন্তত ২৭ জন মেয়ে ও ক্যাম্পের পরিচালক ৭০ বছর বয়সী রিচার্ড ইস্টল্যান্ড মারা গেছেন। এছাড়া আরো ৫ জন ক্যাম্পার ও ১৯ বছর বয়সী একজন মেন্টর এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কের কাউন্টি। এখানে কমপক্ষে ৯৬ জনের প্রাণ গেছে, যার মধ্যে ৩৬ জনই শিশু। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে কমপক্ষে ১৬১ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বন্যায় কের কাউন্টির বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ত্রাভিস, বার্নেট, কেন্ডাল, উইলিয়ামসন এবং টম গ্রিন কাউন্টিতেও প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
আরো পড়ুন:
আরো ৭ দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প
ইসরায়েলের সমালোচনা করায় জাতিসংঘের বিশেষ দূতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
কের কাউন্টির বন্যাকে বড় ধরনের বিপর্যয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আগামীকাল শুক্রবার টেক্সাস সফর করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট বন্যার দুর্বল সতর্কতা ব্যবস্থা ও জরুরি প্রতিক্রিয়া মোকাবিলার জন্য সংসদে একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
পর্যাপ্ত সতর্কতার অভাব ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, শুক্রবার তীব্র বৃষ্টিপাতের প্রায় ১২ ঘণ্টা আগে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছিল। তবে, সতর্কতার মাত্রা কেবল ‘মাঝারি’ হিসেবে জারি করা হয়েছিল।
টেক্সাসের গভর্নর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও উদ্ধার কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর জন্য নিয়ম ও আইন মূল্যায়ন এবং সহজ করার জন্য নতুন আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ক র ক উন ট বন য য়
এছাড়াও পড়ুন:
কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০
কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলের এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টির চেসোঙ্গোচে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রাতারাতি ভূমিধস ঘটেছে। কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ২১ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে পাহাড়ধস: কারণ ও করণীয়
বহু জাতি-সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি না: সন্তু লারমা
শনিবার (১ নভেম্বর) কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রসচিব কিপচুম্বা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতি বলেন, গুরুতর আহত কমপক্ষে ২৫ জনকে এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টি থেকে চিকিৎসার জন্য এলডোরেট শহরে বিমানযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় রবিবার থেকে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে।
স্বরাষ্ট্রসচিব আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আরো ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। এ কাজে সামরিক ও পুলিশের হেলিকপ্টারগুলো প্রস্তুত রাখা রয়েছে।
কেনিয়ার রেড ক্রস পাহাড়ি এলাকা চেসোঙ্গোচের আকাশ থেকে তোলা ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ব্যাপক কাদা ধস ও আকস্মিক বন্যা ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য দেখা গেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা সমন্বয় করছে, যার মধ্যে আহতদের বিমানযোগে স্থানান্তরও রয়েছে।
রেড ক্রস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক বিবৃতি বলেছে, বন্যা ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো খুবই কঠিন।
চেসোঙ্গোচের পাহাড়ি এলাকা আগেও ভূমিধসের ঝুঁকিতে ছিল। ২০১০ ও ২০১২ সালে কয়েক ডজন মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২০২০ সালে প্রচণ্ড বন্যায় একটি শপিং সেন্টার ভেসে গিয়েছিল।
ঢাকা/ফিরোজ