ভেঙে গেল বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার ও গ্র্যান্ড স্লামজয়ী টেনিস তারকার ৯ বছরের সংসার
Published: 23rd, July 2025 GMT
৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন সাবেক টেনিস তারকা আনা ইভানোভিচ ও জার্মান ফুটবল কিংবদন্তি বাস্তিয়ান শোয়াইনস্টাইগার।
দীর্ঘদিন ধরে চলা গুঞ্জনের পর ইভানোভিচের প্রতিনিধি ক্রিশ্চিয়ান শার্টৎস আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই তারকা দম্পতির ‘অমীমাংসিত মতপার্থক্য’ই যা শেষ পর্যন্ত দুজনকে বিচ্ছেদের পথে নিয়ে গেছে।
আনা ইভানোভিচ ২০০৮ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে টেনিস বিশ্বে আলোড়ন তোলেন। একই বছর তিনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে হেরে যান মারিয়া শারাপোভার কাছে। ২০১৬ সালে টেনিস থেকে বিদায় নেন ইভানোভিচ।
এর আগে ২০১৪ সালে ইভানোভিচ সম্পর্কে জড়ান জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার শোয়াইনস্টাইগারের সঙ্গে। ২০১৬ সালে ইতালির ভেনিসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই ক্রীড়াজুটি। তাঁদের সংসারে তিন সন্তান। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেশির ভাগ সময় সন্তানদের নিয়ে নিজ দেশ সার্বিয়ায় কাটিয়েছেন ইভানোভিচ।
শোয়াইনস্টাইগার জার্মানির ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি তিনি বায়ার্ন মিউনিখ এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়েও আলো ছড়িয়েছেন। অবসর নেওয়ার পর টেলিভিশনে ফুটবল বিশ্লেষকের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই মিডফিল্ডার। পেশাগত কারণে তাঁকে প্রায়ই বিদেশে থাকতে হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ভিন্ন জীবনধারাই দুজনের সম্পর্কের মাঝে দেয়াল তুলে দিয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মেইল স্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে এ দুজনের দাম্পত্য কলহের খবর সামনে আসে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, আনা (ইভানোভিচ) ও বাস্তিয়ানের (শোয়াইনস্টাইগার) সম্পর্ক ‘গভীর এক সংকটে’ পড়েছে। এর পেছনে প্রধান কারণ তাঁদের বিপরীতমুখী জীবনযাপন।
শোয়াইনস্টাইগার নিয়মিত ভ্রমণ ও পেশাদার দায়িত্বে ব্যস্ত থাকলেও ইভানোভিচ পারিবারিক জীবনে বেশি জড়িয়ে ছিলেন। আর এই টানাপড়েনই শেষ পর্যন্ত কাল হয়েছে। তবে এই বিচ্ছেদ নিয়ে দুজনের কেউ প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। আইনজীবী শার্টৎস অনুরোধ করেছেন, ভক্তরা যেন এই সময়টাতে তাঁদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করেন।
এদিকে গত জুনে জার্মান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বাস্তিয়ান শোয়াইনস্টাইগারকে তাঁর কথিত নতুন প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গেছে। সিলভা নামের বুলগেরিয়ান সেই নারীর সঙ্গে শোয়াইনস্টাইগারের স্পেনের মায়োর্কায় ঘুরতে গিয়েছিলেন বলেও জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে। গুঞ্জন আছে, শোয়াইনস্টাইগার ও সিলভা এর আগে মরক্কোতেও একসঙ্গে ছুটি কাটিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল