প্রিজনভ্যানের ভেতরে পলক, একজন বললেন, ‘কাইন্দেন না’
Published: 23rd, July 2025 GMT
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের একটি মামলায় সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে কারাগার থেকে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। তাঁকে রাখা হয় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এই মামলায় পরে হাজতখানা থেকে পলককে আদালতকক্ষে নেওয়া হয়। আজ এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তা আজ দাখিল হয়নি। শুনানি শেষে পলককে আদালতকক্ষ থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে হাজতখানা থেকে বের করে পুলিশ।
আরও পড়ুন‘আপনি আজ কাঁদলেন কেন’ প্রশ্নে পলক নিশ্চুপ ০৯ জুলাই ২০২৫তখন দেখা যায়, পলকের দুই হাত পেছনে নিয়ে পরানো রয়েছে হাতকড়া। তাঁর মাথায় পুলিশের হেলমেট। বুকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট।
হাজতখানার অদূরে রাখা ছিল প্রিজনভ্যান। সেদিকে পলককে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। এ সময় পলকের কাছাকাছি চলে আসেন কিছু মানুষ। তাঁরা পলকের এলাকার (নাটোর) লোক বলে পরে প্রথম আলোকে জানান তাঁর আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন।
প্রিজনভ্যানের ভেতরে লোহার ফোকর ধরে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন জুনায়েদ আহমেদ পলক.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ জতখ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ