মৃত অবস্থায় আনা হয় হাসপাতালে, অভিযোগ নির্যাতনে মৃত্যু
Published: 2nd, August 2025 GMT
রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ শনিবার ভোরে নজরুল ইসলাম (৪৩) নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তাঁর বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে চার-পাঁচজন তাঁকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে। এতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
নজরুল ইসলামের মামা কামাল হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, খিলগাঁও এলাকায় তাঁর ভাগনে ফুটপাতে পুরি-শিঙাড়া বিক্রি করতেন। গতকাল রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তাঁকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও সেখানে গিয়েছিলেন। ওই বাহিনীর সদস্যরা বলেছিলেন, তাঁর ভাগনের কাছে মাদক রয়েছে, পরে তাঁকে নির্যাতন করা হয়। পরে ভোর চারটার দিকে নজরুলের স্ত্রী স্বামীকে নিয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
নজরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। তিনি খিলগাঁওয়ের সিপাহিবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে।
ওসি মো. দাউদ হোসেন বলেন, ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের পরিবার এখনো থানায় অভিযোগ দেয়নি। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর মামলা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।