‘সকালে ওই মোড়ে আমাদের দায়িত্ব ছিল। হঠাৎ কনস্টেবল এসে বলল, ‘‘স্যার রাস্তায় বাবু হয়েছে।” তাঁর কথা শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি সড়কেই নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। এরপর ওয়াকিটকিতে সাহায্যের জন্য বলি। সে সময় জেলা পুলিশের একটি অ্যাম্বুলেন্স ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। সেটিকে থামিয়ে পরে মা ও নবজাতককে হাসপাতালে পৌঁছাই।’

মুঠোফোনে কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট জাহিদুর রহমান। আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানহাট মোড়ে সড়কের পাশে সন্তান জন্ম দেওয়া ওই নারী ও তাঁর সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেন তিনি।  

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দুপুর ১২টার দিকে দেওয়ানহাট মোড়ে পুলিশ বক্সের বিপরীত পাশ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ আছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ভারসাম্যহীন নারী প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। একসময় সড়কেই তিনি সন্তানের জন্ম দেন। তবে পথচারীদের কেউ এগিয়ে আসেনি। তাঁর চিৎকার শুনে এক পুলিশ সদস্য এগিয়ে যান। পরে আরও কয়েকজন এসে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় ওই নারীকে। অ্যাম্বুলেন্সে একজন সার্জেন্ট ছিলেন।

সার্জেন্ট জাহিদুর রহমান বলেন, ‘সেখানে আমি, সার্জেন্ট আবদুল্লাহ আল মুজাহিদ ও কনস্টেবল মহিউদ্দিন ছিলাম। বাচ্চাটা সড়কে পড়ে ছিল। আমরা আশপাশে নারী পথচারীদের অনুরোধ করছিলাম ওই নারীকে ঢেকে দেওয়ার জন্য। অনেক অনুরোধের পর দুজন এগিয়ে আসেন। তাঁদের সহায়তায় মা ও সন্তানকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলি।’

আরও পড়ুনসড়কের ধারে সন্তানের জন্ম দিলেন নারী, হাসপাতালে নিল পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস০৪ জুন ২০২২.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জন ম দ

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুট: ৬ দপ্তর ও বেলার কাছে নথি চেয়েছে দুদক

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে ছয়টি সরকারি দপ্তর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কার্যালয়ের কাছে নথিপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে এসব চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যে দপ্তরগুলোর কাছে নথি তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ থানা, খনিজ সম্পদ ব্যুরো ও খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বেলার সিলেট অফিস।

দুদক সূত্র জানায়, চিঠিগুলোয় যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভোলাগঞ্জ এলাকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) যেসব তদন্ত করেছে, তার সত্যায়িত কপি ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত পরিচয়; কী পরিমাণ পাথর উত্তোলন বা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং কতটা অবশিষ্ট রয়েছে, তার তথ্য; পাথর উত্তোলনের কারণে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির হিসাব; পাথর লুট নিয়ে বিএমডি থেকে দায়ের করা মামলার এজাহারের কপি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম ও গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ও দায়ী সরকারি–বেসরকারি ব্যক্তিদের নাম।

আরও পড়ুনপাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে ১৪ আগস্ট ২০২৫

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর দুদক জানিয়েছিল, ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। উপপরিচালক রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ