ফেনীর ফুলগাজীতে ভারতীয় মদসহ ছয় চোরাকারবারিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. আবদুল করিম (৩০), একই গ্রামের কবির আহম্মদের ছেলে মো.

মমিন (২১), নুর আহাম্মদের ছেলে মো. রোমান (২১), রফিকের ছেলে ইমন (২২), আমির হোসেনের ছেলে মো. হানিফ (২৩) ও ফুলগাজী উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের ছবির আহাম্মদের ছেলে রবিউল হক (২৫)।

আরো পড়ুন:

পিয়াইন নদীতে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

ঢাকার পিলখানায় শুরু হ‌চ্ছে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন

বিজিবি সূত্র জানায়, ফুলগাজী উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর এলাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভারতীয় তিন বোতল মদসহ ছয় মাদক চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাদের ফুলগাজী থানার হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযানের সময় ফুলগাজী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উপস্থিত ছিলেন। 

বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‍“সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, মাদকের অবৈধ পাচার ও চোরাচালান রোধসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর নীতি অব্যাহত থাকবে।” 

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক উপজ ল র হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে পদযাত্রা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবানে জেলা বিএনপি থেকে সাচিংপ্রু জেরীর দলীয় প্রার্থিতা বাতিল করে জাবেদ রেজাকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে জেলা শহরে আজ সোমবার পদযাত্রা ও সমাবেশ করেছে দলটির একটি পক্ষ। কর্মসূচিতে মাম্যাচিং-জাবেদ রেজা পক্ষের বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভারপ্রাপ্ত দলীয় চেয়ারপারসনের কাছে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানান।

আজ বেলা ১১টায় মাম্যাচিং-জাবেদ পক্ষের কয়েক শ নেতা-কর্মী জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে পদযাত্রা করেন। তাঁরা পদযাত্রা শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হন। এ সময় বক্তব্য দেন বান্দরবান সদর উপজেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পম্পি রানি দাশ, জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি মো. মুসা, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. আয়ুব এবং মহিলা দলের সদস্য সাইং সাইং নু মারমা।

মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পম্পি রানি দাশ বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ১৭ বছর ধরে মাম্যাচিং ও জাবেদ রেজা এবং তাঁদের নেতা-কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাড়িতে থাকতে পারেননি। কিন্তু সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেও জাবেদ রেজাকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না করা অবিচার। পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. আইয়ুব বলেন, যোগ্য হিসেবে জাবেদ রেজাই প্রার্থী হওয়ার কথা। কিন্তু তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি। বিএনপি এবার এই আসনে জিততে না পারলে জেলা থেকে বিলীন হয়ে যাবে।

তবে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নিজের অনুসারীদের এ কর্মসূচিতে জাবেদ রেজা নিজেই অনুপস্থিত ছিলেন। এমনকি তাঁর পক্ষের শীর্ষ নেতারাও কেউ ছিলেন না। বিষয়টি জানতে জাবেদ রেজাকে ফোন করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

বান্দরবান ৩০০ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী সাচিংপ্রু জেরীর পক্ষের নেতা ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রশিদ বলেন, জাবেদ রেজা মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। এ জন্য তিনি অথবা অন্য কোনো পক্ষ তাঁর নামে পদযাত্রা করিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র দাখিল করলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তখন সবাই একযোগে কাজ করবেন। কোনো বিভেদ থাকবে না।

১৯৯৬ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ছাড়া কোনো সংসদীয় নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি জয়লাভ করতে পারেনি। বান্দরবান জেলা বিএনপিতে সাচিংপ্রু জেরী ও মাম্যাচিং-জাবেদ পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বারবারই দলটি নির্বাচনে হারছে বলে দলের নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের ধারণা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ