‘আমরা শুধু জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ব না, আমাদের অনুধাবন চর্চা করার জন্য বই পড়ব, তাহলে আমাদের জীবন সার্থক হবে। শুধু বই পড়ে তথ্য জানার চেয়ে অনুধাবন করা জরুরি।’ ‘স্বপ্ন দেখি বই পড়ি’ এই স্লোগানে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির আয়োজনে আজ শনিবার সকালে রাজধানীর হাজারীবাগ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি পর্ব–২ অনুষ্ঠানে অনুবাদক ও শিক্ষক এলহাম হোসেন এই বক্তব্য দেন।

সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামসহ যাঁরা ছেড়ে গেছেন, তাঁদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক ও শব্দঘর সম্পাদক মোহিত কামাল। তিনি বলেন, ‘আমরা মোবাইল দেখব, কিন্তু সেটা সব সময়ে দেখব না, বই পড়ব, খেলাধুলা করব, উল্লাস করব, তাহলে আমাদের মন বিকশিত হবে।’

জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক ও শব্দঘর সম্পাদক মোহিত কামাল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ