বলিউডে সম্পর্কের ভাঙা-গড়া নতুন কিছু নয়। প্রতিনিয়ত নতুন সম্পর্ক যেমন তৈরি হচ্ছে, আবার সম্পর্ক ভাঙছেও। তবে কিছু প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা চলতেই থাকে। বলিউডের আলোচিত সম্পর্কের মধ্যে একটি অভিষেক বচ্চন ও কারিশমা কাপুরের প্রেম। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর এই জুটির বাগদানও হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর বিয়েতে গড়ায়নি। 

অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পেছনে নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও, দুই পরিবারই সবসময় সেই ভাঙনের প্রকৃত কারণ গোপন রেখেছে। বাগদান ভেঙে যাওয়ার পরের সময়কে কারিশমা ‘ট্রমাটিক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার ভাষায়, “এই অভিজ্ঞতা যেন কোনো মেয়ের জীবনে না আসে।” 

আরো পড়ুন:

বক্স অফিসে ‘পরম-সুন্দরীর’ হালচাল কী?

প্রেমিকাকে ছেড়ে দাও, নয়তো সিনেমা, সাইফকে বলেছিলেন পরিচালক

২০০৩ সালে রেডিফ-কে সাক্ষাৎকার দেন কারিশমা। এ আলাপচারিতায় অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলেন। কারিশমা কাপুর বলেন, “সচেতনভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি নিজেকে পুরোপুরি গুটিয়ে নিয়েছিলাম। দুঃখ নিয়ে প্রকাশ্যে আসার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি সম্মানের সঙ্গে চুপ থাকাকেই বেছে নিয়েছিলাম। কারণ আমি সে রকমই একজন মানুষ। আমি সবসময়ই কম কথা বলা একজন নারী।”

ভাগ্যের বেশি পাওয়া যায় না বলে মনে করেন কারিশমা কাপুর। সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “এই বছরের (২০০৩) শুরুটা আমার জন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক ছিল। আমি চাই না কোনো মেয়ে এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাক। আমার কষ্ট আর যন্ত্রণা একাই সামলেছিলাম। আমার ধারণা, সময়ই সবচেয়ে বড় ওষুধ। অনেক কিছু পার করে এসেছি। আমি এখন সেই ঘটনাগুলোও মেনে নিতে শিখেছি। আমি শুধু এটুকুই বলব—নিয়তি যা নির্ধারণ করে, সেটাই ঘটে। আমি মানসিকভাবে তখন আমার সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হওয়ার জন্য তৈরি ছিলাম না। জীবন আমাদের নানারকম কার্ড দেয়; সেই কার্ডের খেলায় নিজেকে মেলাতে হয়।”

বিয়ে ভাঙার সঠিক কারণ দুই পরিবারের কেউ না জানালেও, গুঞ্জন শোনা যায়, কারিশমার মা, প্রাক্তন অভিনেত্রী ববিতা কাপুর ও বচ্চন পরিবারের মতভেদের কারণে বিয়েটি ভেঙে যায়। কিন্তু কারিশমা তার পরিবার নিয়ে ভিন্ন তথ্য জানান। কারিশমা কাপুর বলেন, “আমার মা-বাবা (ববিতা ও রণধীর কাপুর), বোন (কারিনা কাপুর), আমার দাদিজি (কৃষ্ণা রাজ কাপুর), আমার দুই পিসি (রীমা জৈন ও ঋতু নন্দা) আর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা না থাকলে আমি আমার সেই ট্রমা থেকে বের হতে পারতাম না।”

২০০২ সালে অমিতাভ বচ্চনের ৬০তম জন্মদিনে জয়া বচ্চন ঘোষণা দেন অভিষেক-কারিশমার বাগদানের। জয়া বচ্চনের এমন ঘোষণার পর বলিউডে বইছিল উৎসবের আমেজ। তবে সেই উৎসব মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি। ২০০৩ সালে অপ্রত্যাশিতভাবে ভেঙে যায় এই বিয়ে। 

একই বছর কারিশমা কাপুর শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন। এক দশকের কিছু বেশি সময় পর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তবে এ সংসারে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। চলতি বছরের ১২ জুন মারা যান সঞ্জয় কাপুর। তবে কারিশমা আর বিয়ে করেননি। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা

নারায়ণগঞ্জ শহরের শায়েস্তা খান সড়কে অবস্থিত জনতা ব্যাংক বিবি রোড কর্পোরেট শাখার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহককে হয়রাণির অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ওই নারী গ্রাহক খুরশিদা জানান, বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে ডিপিএসের টাকা তুলতে গেলে নানা টালবাহানা করেন ওই কর্মকর্তা। এর আগে বড় বোনের ডিপিএস ভাঙ্গানোর সময়ে টাকা চেয়ে না পেয়ে ক্ষিপ্ত ছিলেন তিনি। গুণধর ওই কর্মকর্তার নাম আশরাফ। তিনি ওই শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জনতা ব্যাংকের ভিজিল্যান্স ডিপার্টমেন্টের উপ মহাব্যবস্থাপক বরাবর ইমেইলে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে খুরশিদা জানান, গত ১৪-০৯-২০২৫ তারিখে আমি আমার ডিপিএস ৮৩০০০০৯৯ নম্বর এর টাকা আমার বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে উত্তোলন করতে যাই। আমার বোনকে দেখে একজন কর্মকর্তা আমাকে পরে আসতে বলে। অনেকক্ষন পর আমার বোন জামাই এসে ওই কর্মকর্তাকে বললে তিনি বলেন, দরখাস্ত করতে হবে। জবাবে আমার বোন জামাই বলেন, দরখাস্ত দেন, সবতো আপনাদের কাছে। এরও কিছুক্ষন পর তিনি একটি কাগজ দিয়ে বলেন আমি পূরণ করতে পারবো না। পরে আমি অন্য একজনকে দিয়ে পূরণ করে তার কাছে জমা দিলে তিনি খুব ধীরলয়ে কাগজটি নাড়াচাড়া করতে থাকেন। বিভিন্ন কিছু গুছাতে থাকেন।

এরপর বলেন, কাকে দিয়ে ফিলাপ করিয়েছেন। আমি একজনের নাম বলি। ওই সময়ে আমার বোন জামাই বলে, কে ফিলাপ করলো এটা জানার কি খুব দরকার। সঠিক হয়েছে কি-না তা দেখেন।

এ নিয়ে আমার বোন জামাইয়ের সঙ্গে তার তর্ক হলে তিনি এক পর্যায়ে কাগজ নিয়ে ম্যানেজার সাহেবের রুমে ঢুকেন। তখন ম্যানেজার সাহেব আমাদের ডেকে নেন, ঘটনা শুনেন। পরে তিনি বলেন, আজ হিসেব করে আপনার সেভিংস একাউন্টে টাকা জমা হবে আপনারা চলে যান।

ম্যানেজার সাহেবের কাছে ওই কর্মকর্তার পরিচয় জানতে পারি, ওনার নাম আশরাফ উনি ওই ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার।

এখানে উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১০ জুলাই আমার বড় বোন পারভীন ডিপিএসের টাকা তুলতে গেলে ওই কর্মকর্তা আশরাফ সাহেব তার কাছে টাকা চান। বিষয়টি আমার বোন জামাই শুনতে পেয়ে তার কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি (আশরাফ সাহেব) তখন বলেন, টাকা চাই নাই পেয়ারা খেতে চেয়েছি। তখন তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার কারনেই তিনি আমার বোনকে দেখে সেদিন আমাকে নূন্যতম সহযোগীতা না করে হয়রাণি করতে চেয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি
  • শেষ হলো সপ্তম যোসেফাইট ম্যাথ ম্যানিয়া ২০২৫