খুলনা বেতার থেকে লুট হওয়া ৪১ গুলি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
Published: 10th, September 2025 GMT
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট খুলনা আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্র থেকে পুলিশের লুট হওয়া ৪১টি গুলি উদ্ধার এবং দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে কেএমপির গোয়েন্দা শাখা নগরীর গল্লামারি লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের পাশ থেকে তাদের গ্রেপ্তার এবং গুলি উদ্ধার করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড সিপি) খোন্দকার হোসেন আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
জমিয়ত নেতা মুশতাক হত্যা: হাফিজ ৩ দিন রিমান্ডে
নাটোরে বিদেশি মদ ও ইয়াবাসহ আটক ২
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন শের এ বাংলা রোডের গল্লামারী সংলগ্ন লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে অভিযান চালায়।
সহকারী পুলিশ কমিশনার খোন্দকার হোসেন আহমদ জানান, অভিযানে নগরীর নিরালা দিঘিরপাড় এলাকার বাবুলের ছেলে হাসানুর রহমান রাহুল (২২) ও বাগমারা স্কুল গলি রোড এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে শাহরিয়ার রহমান সম্রাটকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হেফাজত হতে ৭.
সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় খুলনা বেতার কেন্দ্র থেকে পুলিশের ব্যবহৃত গুলি লুট করে। ওই গুলি বিক্রির জন্য অবৈধভাবে তারা নিজেদের হেফাজতে রেখেছিলেন।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। তাদের হেফাজতে আরো গোলাবারুদ আছে কি-না এবং পুলিশের অস্ত্র-গোলাবারুদ লুটে যোগ দেওয়া অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও আরো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব