জেলা প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় মেহেরপুরে জেমসের কনসার্ট স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবর কনসার্ট হওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে আয়োজনের কার্যক্রম বন্ধ করেছে আয়োজক সূর্য ক্লাব।

আয়োজক কমিটি জানায়, দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড সংগীতশিল্পী জেমস ও তাঁর দল নগর বাউলের কনসার্টের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়ামে। এ জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করা হয়। তবে ২৮ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের কোর কমিটি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে উল্লেখ করে কনসার্টের অনুমতি দেয়নি। আপাতত কনসার্টটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

আয়োজক কমিটির সভাপতি নাহিদ মাহমুদ জানান, আগামী ১০ অক্টোবর কনসার্টের পরিকল্পনা ছিল। আশপাশের জেলা থেকেও দর্শকসমাগম হতো। কোলাহল ও জনসমাগমের বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন অনুমতি দেয়নি।

মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলেন, কনসার্টের খবর ছড়িয়ে পড়ায় যুবকদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। অনুমতি না পাওয়ায় সবাই হতাশ হয়েছেন। জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দর্শকদের শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে পারত বলে তিনি মনে করেন।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল ছালাম জানান, কোর কমিটির সিদ্ধান্তে কনসার্টের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ব্যাপক জনসমাগম হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, এই বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কনস র ট কনস র ট র

এছাড়াও পড়ুন:

বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল

আনন্দ আর অশ্রু মিশ্রিত আবেগে রাজধানীর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিদায় জানালেন দেবী দুর্গাকে। বুড়িগঙ্গার বুকে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে হাজারো ভক্ত ও পুণ্যার্থীর ঢল নামে।

এদিকে, ভক্তদের এই মিলনমেলা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ও সর্বাত্মক সহযোগিতা।

আরো পড়ুন:

প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ছুটোছুটির মধ্যে কাটছে মিমের পূজা

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে পুরান ঢাকার সদরঘাটের ওয়াইজ ঘাট পরিণত হয় ভক্ত-অনুরাগীর মিলনমেলায়।

ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টা ও নাচ-গানের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গা, গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও কলা বৌকে একে একে নামানো হয় পিকআপ ভ্যান থেকে। এরপর প্রতিমাগুলো নৌকায় তুলে নিয়ে বুড়িগঙ্গার বুকে নিরঞ্জনের মাধ্যমে করা হয় বিসর্জন।

প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষ থেকে সদরঘাট টার্মিনালের কাছে বিনা স্মৃতি স্নান ঘাটে নির্মাণ করা হয় অস্থায়ী বিসর্জন মঞ্চ। সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

প্রতিমা বিসর্জন দেখতে লক্ষ্মীবাজার থেকে আসা ভক্ত পায়েল সরকার বলেন, “মা দুর্গা শান্তির বার্তা নিয়ে কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন। আজ তাকে বিদায় দিতে কষ্ট হচ্ছে, তবে এ অপেক্ষাটাও মধুর যে, আগামী বছর তিনি আবার আসবেন।”

কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির কোতোয়ালি থানার আহ্বায়ক শ্রীকান্ত দত্ত বলেন, “খুব সুন্দরভাবে এবারের পূজা উদযাপন সম্পন্ন হয়েছে। মানুষের জীবনে শান্তি ফিরে আসুক, এই কামনা করি। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও এবার ছিল প্রশংসনীয়।”

কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার ফজলুল হক বলেন, “শুধু স্থলেই নয়, নদীপথেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ট্রলার ও স্পিডবোটে নদীতে টহল দিচ্ছে।”

বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ইসমাইল হোসেন বলেন, “প্রতিমা বিসর্জন যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে সম্পন্ন হয়, সেজন্য আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব ধরনের সহযোগিতা করছে।”

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, “বিসর্জন কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ওয়াইজ ঘাটে সুশৃঙ্খল পুলিশি ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। প্রতিমাগুলো নিরাপদে ঘাটে পৌঁছাতে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত কর্মকর্তা কাজ করছেন। সন্ধ্যার মধ্যে বাকি প্রতিমাগুলো বিসর্জন দেওয়া হবে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈরী আবহাওয়ায়ও উৎসবের আমেজ, এক ঘণ্টায় ১২৭ প্রতিমা বিসর্জন
  • টেকনাফের পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে জিম্মি রাখা আরও ২১ নারী ও শিশু উদ্ধার
  • বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল
  • অনীষাদের পূজার আনন্দ বাড়িয়ে দিলেন প্রধান উপদেষ্টার সহকারী
  • চার দিন পর স্বাভাবিক যান চলাচল, জনজীবনে স্বস্তি
  • পূজামণ্ডপের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জানতে ও ব্যবস্থা নিতে ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপ’ চালু এনটিএমসির
  • দুর্গাপূজা যাতে শান্তিপূর্ণ না হতে পারে, সে জন্যই খাগড়াছড়ির ঘটনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু
  • খাগড়াছড়িতে আজও অবরোধ চলছে, স্থবির জনজীবন