দেড় বছর আগে স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি।এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনকে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি।
কয়েক দিন আগে রকিব ও ছেলে ফারিশের সঙ্গে তোলা ছবি প্রকাশ করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মাহি। ছবিটি প্রকাশের পর থেকে নেটিজেনদের একটাই প্রশ্ন—তাহলে কি সম্পর্কের বরফ গলেছে, নতুন করে কি একত্রিত হয়েছেন মাহি ও রকিব?
আরো পড়ুন:
প্রেমের গুঞ্জনের মধ্যেই কার বিয়েতে হাজির হচ্ছেন জায়েদ-মাহি?
পরবাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জায়েদ–মাহি, ফের প্রেমের গুঞ্জন
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে মাহির সঙ্গে কথা বলেছেন রাইজিংবিডির এই প্রতিবেদক। এ আলাপচারিতায় মাহিয়া মাহি বলেন, “আমাদের ডিভোর্স হয়নি। ডিভোর্স না হলে সংসার ভাঙার তো প্রশ্নই আসে না।”
বছর খানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে মাহি জানিয়েছিলেন, তাদের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় বিচ্ছেদ হচ্ছে। তখন তিনি বলেছিলেন, “আমরা দুজনই চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না, তখন বন্ধুত্ব বজায় রাখাটাই ভালো মনে হয়েছে। রকিব এখনো ফারিশের প্রতি খুব যত্নবান একজন বাবা।”
তাহলে বিচ্ছেদের ঘোষণা কেন দিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, “আমি রাগের মাথায় বিচ্ছেদের কথা বলেছিলাম। আসলে আমাদের ডিভোর্স হয়নি; নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।”
মাহি এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, আর রকিব সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে অনেকে জানতে চেয়েছেন—একসঙ্গে ফ্রেমবন্দি হলেন কীভাবে?
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মাহি বলেন, “ছবিটি আমরা ভারতে তুলেছিলাম; তখন প্রকাশ করা হয়নি। এখন উইকিপিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে—তাই ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে ছবিটি পোস্ট করেছি। আমাদের পাসপোর্টেও লেখা আছে ‘ম্যারিড’, স্বামীর নাম রকিব সরকার। আমরা ভালো আছি।”
বিয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় রকিব সরকারের সঙ্গে তোলা ছবি নিয়মিত শেয়ার করতেন মাহি। তবে দীর্ঘ বিরতির পর গত সোমবার রাতে হঠাৎ স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে তোলা দুটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। ফেসবুকে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে মাহি লিখেন, “মাশা আল্লাহ।” এর ঠিক এক ঘণ্টা আগে একই ছবি পোস্ট করেন রকিব সরকারও।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম দ র ড ভ র স
এছাড়াও পড়ুন:
রোমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের কার্যালয় উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কু দং ইউ এর সঙ্গে রোমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে গঠিত গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার এফএও সদর দপ্তরে তিন নেতা যৌথভাবে অ্যালায়েন্সের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রায় এক দশক আগে প্রেসিডেন্ট লুলার উদ্যোগে প্রস্তাবিত এই গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা দেশ ব্রাজিল ও বাংলাদেশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিন নেতা অ্যালায়েন্সের নবনির্মিত কার্যালয়ে একসঙ্গে হাত মিলিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রমের সূচনা করেন। তাঁরা উদ্যোগটিকে বৈশ্বিক ক্ষুধা মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করে যৌথ পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিশেষ করে এমন সময়ে যখন গাজা ও সুদানে দুর্ভিক্ষ চলছে এবং বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটির বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘চলুন, আমরা একসঙ্গে কাজ করি—ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।’
প্রেসিডেন্ট লুলা ও মহাপরিচালক কু দং ইউও সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নতুন অংশীদারত্বের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে ব্রাজিলের কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়াও বাংলাদেশের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন।