বান্দরবানের থানচি উপজেলার নাফাখুম ঝরনায় নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর তরুণ পর্যটক ইকবাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া ডুবুরি দল আজ রোববার বিকেল চারটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নাফাখুম ঝরনায় পড়ে নিখোঁজ হন ২৫ বছর বয়সী ইকবাল হোসেন। থানচির স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে না পেরে চট্টগ্রামের ডুবুরিদের খবর দেয়। আজ সকালে চট্টগ্রাম থেকে রহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ডুবুরি দল নাফাখুমে পৌঁছায়। সেখানে তাঁরা কয়েক ঘণ্টা ধরে উদ্ধার কাজ চালিয়েছেন। বেলা ৩টা ৫৫ মিনিটে পানির গভীরে একটি গুহার মধ্যে আটক অবস্থায় ইকবাল হোসেনের লাশ খুঁজে পান ডুবুরিরা। পুলিশ, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে মৃত ইকবাল হোসেনের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

থানচি উপজেলার অত্যন্ত মনোরম ও দুর্গম নাফাখুম ঝরনা। রেমাক্রি খালে অবস্থিত এই ঝরনা খালের মোহনা থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার ও উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে। অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় নাফাখুম ঝরনায় পর্যটক ভ্রমণে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

আবদুল্লাহ আল-ফয়সাল জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা এবং প্রশাসনকে কোনো কিছু না জানিয়ে গোপনে ১৭ জন তরুণ নাফাখুম ঝরনায় গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ইকবাল হোসেন পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মজুমদার জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া ইকবাল হোসেনের লাশ রেমাক্রি খাল থেকে সাঙ্গু নদে আনা হচ্ছে। সাঙ্গু নদে আসার পর যন্ত্রচালিত নৌকায় করে উপজেলা সদরে নিয়ে আসা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইকব ল হ স ন র ন ফ খ ম ঝরন য় উদ ধ র ক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে ২৯ বাংলাদেশি জেলে গ

আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের অভিযোগে ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে তাদের মাছ ধরার ট্রলারটিও। 

শনিবার গভীর রাতে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে তাদের আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য রবিবার সকালে তাদের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুপুরে তাদের প্রত্যেককে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। 

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে এসে পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে ওই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা। 

এদিকে, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হাসখালী থানার পুলিশ নারী ও পুরুষসহ ১০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। 

উমরপুর গ্রামে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের আত্মগোপন করে থাকার খবর পেয়ে শনিবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাঁচ নারী ও পাঁচ পুরুষ রয়েছেন। এছাড়াও, ওই বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে দুই ভারতীয় দালালকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার হাসখালী পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। 

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ