ট্রাভেল পাস ছাড়া সেন্টমার্টিনের টিকিট বিক্রি: কেয়ারি সিন্দাবাদকে জরিমানা
Published: 1st, December 2025 GMT
সরকার অনুমোদিত ট্রাভেল পাস ছাড়া অবৈধভাবে পর্যটকদের কাছে টিকিট বিক্রির অভিযোগে সেন্টমার্টিনগামী কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। যাত্রার আগে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অনিয়ম শনাক্ত করলে কেয়ারি সিন্দাবাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
ময়মনসিংহে ক্লিনিকে অভিযানে কারাদণ্ড-জরিমানা
ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতাকে আসামি করে মামলা
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, “তিনজন পর্যটকের কাছে ১৮০০ টাকা করে ট্রাভেল পাস ছাড়া (কিউআর কোডবিহীন) সরাসরি টিকিট বিক্রির সত্যতা পাওয়ায় জাহাজ কর্তৃপক্ষকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “নির্দেশনা অনুযায়ী এভাবে টিকিট বিক্রি করা যাবে না। প্রথমদিন হওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়নি, মুচলেকা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে এমন অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী জানান, কেবল কক্সবাজারের স্থানীয়রা জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। অন্যান্য পর্যটকদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে সরকার অনুমোদিত ট্রাভেল পাস নিতে হবে।
এদিকে, ১ নভেম্বর সেন্টমার্টিন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলেও রাত্রিযাপনের অনুমতি না থাকায় পর্যটকরা তখন আগ্রহ দেখাননি। তবে, আজ ১ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই মাস রাত্রিযাপনের সুযোগ থাকায় মৌসুমের প্রতীক্ষিত জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রথমদিন সেন্ট মার্টিনগামী যাত্রী ছিলেন ১ হাজার ১৭৪ জন পর্যটক।
জাহাজ মালিকদের সংগঠন ‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, প্রশাসন মোট ৬টি জাহাজকে অনুমতি দিয়েছে। যাত্রীর সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রথমদিন ৩টি জাহাজ চলাচল করেছে। সেগুলো হলো- এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বারো আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দাবাদ।
মৌসুমের প্রথম দিনের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ওপর সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা, হয়রানি রোধ ও পরিবেশ রক্ষায় নেওয়া ব্যবস্থা নিয়মিত তদারকি করা হবে।”
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার রিজিয়নের প্রধান (অতিরিক্ত ডিআইজি) আপেল মাহমুদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ রমণ ভ রমণ ভ রমণ ভ রমণ পর যটন পর যটক স ন টম র ট ন ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
সেন্ট মার্টিনে পর্যটক পরিবহন শুরু কাল, তিন জাহাজে যাচ্ছেন ১২০০ পর্যটক
আগামীকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটক পরিবহন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি—দুই মাস প্রতিদিন দুই হাজার করে পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ ও রাতযাপনের সুযোগ পাবেন। যাত্রার প্রথম দিনে তিনটি জাহাজে মোট ১ হাজার ২০০ পর্যটক সেন্ট মার্টিন যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে জাহাজমালিকদের সংগঠন।
প্রতিদিন সকাল সাতটার দিকে কক্সবাজারের নুনিয়ারছটা বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ছেড়ে যাবে। ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বেলা দেড়টার দিকে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাবে। পরদিন বেলা তিনটার দিকে পর্যটক নিয়ে জাহাজ কক্সবাজারে ফিরবে। একদিকে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা।
‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনে দুই হাজার পর্যটক আশা করেছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনটি জাহাজে ১ হাজার ২০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে। রাতের মধ্যে আরও কিছু টিকিট বিক্রি হতে পারে। পর্যটক কমে গেলে সব জাহাজ চালানো সম্ভব হবে না।’ তিনি জানান, সোমবার সকালে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দাবাদ নিয়ে পর্যটকদের প্রথম বহর দ্বীপে যাবে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘টানা ১০ মাস বন্ধ থাকার পর ডিসেম্বর থেকে দুই মাসের জন্য দ্বীপ খুললেও পর্যটকের সাড়া কম। ২৩০টির বেশি হোটেল–রিসোর্ট, কটেজ থাকলেও অধিকাংশ কক্ষ খালি পড়ে থাকার আশঙ্কা আছে।’
কঠোর নির্দেশনা মানতে হবেসরকারি ঘোষণায় বলা হয়, ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের অনুমতি থাকলেও রাতযাপনের সুযোগ না থাকায় এবং জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় নভেম্বরে কেউ ভ্রমণে যেতে পারেননি। ডিসেম্বর–জানুয়ারি দুই মাস রাতযাপনের অনুমতি থাকলেও জাহাজ চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
দ্বীপের এমন সৌন্দর্য বিমোহিত করে পর্যটকদের